উপজেলার চেংঠি হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের
সদস্য শহিদুল ইসলামের মামলায় পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক জাকিম মো. মতিউর রহমান
মঙ্গলবার এই আদেশ দেন।
শহিদুলের আইনজীবী ইয়াছিনুল হক দুলাল জানান, গত ১৮ অগাস্ট
শহিদুল ইসলামকে মারধর করা হয়। এ ঘটনায় শহিদুল ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অনিলচন্দ্র রায়
(৫২), ছেলে মানিকচন্দ্র রায় (৩৫) ও কানাই চন্দ্র সেন (৩৮) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে
আদালতে মামলা করেন।
আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেয়।
পিবিআই গত ৯ ডিসেম্বর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করে। মঙ্গলবার তিন বিবাদী হাজির
হয়ে জামিনের আবেদন জানালে আদালত তাদের আবেদন নাকচ করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেয়।
আইনজীবী মামলার নথির বরাতে বলেন, গত ২৫ জুলাই রাতে শহিদুল
ইসলাম চেয়ারম্যান অনিলচন্দ্র রায়ের ব্যক্তিগত চেম্বারে বসে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন।
এ সময় চেয়ারম্যানের কাছে শহিদুল এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের অধীনে একটি নির্মাণকাজের তথ্য
চাইলে তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে চেয়ারম্যান, তার ছেলে ও তাদের সহযোগীরা
শহিদুলকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। স্থানীয় লোকজন শহিদুলকে উদ্ধার করে উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে তাকে দিনাজপুর এম অব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
স্থানান্তর করা হয়। সেখানে সুস্থ হয়ে তিনি মামলা করেন।