ক্যাটাগরি

বিচারকের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের বিক্ষোভ, হাকিম আদালতে তালা

বিক্ষুব্ধ আইনজীবীরা বুধবার সকালে মিছিল করে অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরসহ কয়েকজন বিচারকের এজলাসে ঢুকে পড়েন এবং বিচার চেয়ে শ্লোগান দিতে শুরু করেন।

এ সময় হৈ চৈয়ের মধ্যে আদালতপাড়ার পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং বিচার কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

আইনজীবীরা ওই বিচারকের এজলাসে তালা লাগিয়ে দেন এবং পুরানো মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ভবনের কলাপসিবল গেইটেও তালা লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদশীরা জানান।

আইনজীবী মো. মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বাবলু বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, মঙ্গলবার ‘এজলাসে উঠে বিচারকের আসন গ্রহণ করতে দেরি হওয়ায়’ প্রতিবাদ করেছিলেন রুবেল আহমেদ ভূইয়া নামের একজন আইনজীবী। এর জেরে ওই আইনজীবীকে ‘দুই ঘণ্টা আটকে রাখেন’ হাকিম আসাদুজ্জামান নূর।

এর প্রতিবাদে বুধবার সকালে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীরা। পরে ঢাকা বারের কার্যকরী পরিষদের অফিস সেক্রেটারি এইচ এম মাসুমসহ কয়েকজন বিষয়টি সুরাহা করতে মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত ভবনে আসেন।

আইনজীবী মাসুম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তারা বারের সাধারণ সভা আহ্বান করবেন।

এক সহকর্মীকে ‘আটকে রাখার’ অভিযোগে বুধবার পুরান ঢাকার হাকিম আদালতের ফটকে তালা লাগিয়ে বিক্ষোভ করেন আইনজীবীরা।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির প্রবীণ সদস্য সৈয়দ আহমেদ গাজী ও মো. রেজাউল করিম নিজাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই বিচারকের বিষয়ে ‘যথাযথ আইনি ব্যবস্থা’ নিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তাদের কথা হয়েছে।

মঙ্গলবার কী ঘটেছিল সেই বিবরণ দিতে গিয়ে আইনজীবী মাহবুবুল হক ভূঁইয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, আইনজীবী রুবেল আহমেদ ভূইয়া মঙ্গলবার বেলা ১১টায় একটি মামলার শুনানি করতে বিচারক আসাদুজ্জামান নূরের এজলাসে যান।

“অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওই আদালতের পেশকার জানান, দুপুর ১২টায় বিচারক এজলাসে উঠবেন। তখন আইনজীবী বলেন, ‘একটা নির্দিষ্ট সময় বলা হোক, তা না হলে আমাদের সমস্যা হয়। সকালে অন্য আদালতেও মামলা থাকে। এক মামলার শুনানি করতে গেলে অন্যটিতে করা যায় না।’

“পরে বিচারক এজলাসে উঠে ওই আইনজীবীকে অন্য মামলা সেরে আসতে বলেন। অন্য মামলা সেরে আসার পর আইনজীবী রুবেল তার কনিষ্ঠ সহযোগী আইনজীবীকে পাঠান এ মামলা শুনানি করতে। তখন বিচারক বলেন, ‘সেই আইনজীবীকে আসতে হবে, যিনি সময় বিভ্রাটে পড়েছেন’।

“আইনজীবী রুবেল এজলাসে এলে কোনো কথা না শুনেই বিচারক এজলাসে থাকা পুলিশকে নির্দেশ দেন ওই আইনজীবকে আটক করার জন্য। পরে অন্য আইনজীবীরা বিচারককে অনুরোধ করে তাকে পুলিশ হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসেন।”