ক্যাটাগরি

সড়কে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে ১১১ সুপারিশ বাস্তবায়নে যাচ্ছি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান
খাঁন কামাল বুধবার এই তথ্য জানিয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, “এখন আমরা ১১১ দফা সুপারিশ ধীরে
ধীরে বাস্তবায়নে যাব।”

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
সম্মেলনে নিরাপদ সড়ক সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের সামনে আসেন
মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভাপতিত্বে
এই সভায় মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তার সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, সুরক্ষা সেবা সচিব মোহাম্মদ
শহিদুজ্জামান, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ উপস্থিত
ছিলেন। নিরাপদ সড়ক
চাই আন্দোলনের চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন ভার্চুয়ালি সভায় যুক্ত হন।

২০১৮ সালে ঢাকায়
দুই কলেজশিক্ষার্থীর সড়কে মৃত্যুর পর সারা দেশে শিক্ষার্থীদের নজিরবিহীন আন্দোলনে সড়কে
শৃঙ্খলা ফেরাতে কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়।

তখন পরিবহন মালিক,
শ্রমিক, পুলিশ, গবেষক ও বিআরটিএসহ বিভিন্ন পক্ষের প্রতিনিধিদের নিয়ে সড়ক নিরাপত্তা
কাউন্সিল গঠন করা হয়। শাজহান খান নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি ১১১টি সুপারিশ দেয়।

ওই সুপারিশ বাস্তবায়নে
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠন করা হয় টাস্কফোর্স। সেই টাস্কফোর্স প্রথম সভায় চারটি
কমিটি গঠন করেছিল।

নানা পদক্ষেপেও কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা

নানা পদক্ষেপেও কমছে না সড়ক দুর্ঘটনা

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন,
“প্রথম সভায় চারজন সচিবের নেতৃত্বে চারটি কমিটি করে দিয়েছিলাম কীভাবে এই ১১১টি সুপারিশ
বাস্তবায়ন করা যায়। তারা আজকে তাদের সুপারিশ দিয়েছে। তাদের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা
ও আলোচনা করা হয়েছে।”

তিনি বলেন,
“আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামী
সভায় এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন করার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, সে জায়গায় আমরা যাব।

“এখন আমাদের কাজ হল, যারা এই সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন
করবে, তাদের সুপারিশ করব তারা যেন বাস্তবায়নের কাজে এগিয়ে যান। পাশাপাশি সে কাজে কী
কী অসুবিধা হতে পারে, সেটা আগামী সভায় আলোচনা হবে৷”

সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন কীভাবে
হবে- প্রশ্নের জবাবে আসাদুজ্জামান কামাল বলেন, “সভায় যে প্রস্তাবগুলো আসছে সেগুলোর
কোনোটি স্বল্প মেয়াদি, কোনোটি মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি।

“চারটি কমিটি রয়েছে।
তারা ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। এপর্যন্ত আমরা
যে রিপোর্ট পেয়েছি, তার অনেকগুলো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। আমরা বসে নেই, তবে কোভিডের জন্য
ধীর গতিতে আছি।”

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি
বলেন, “বাস্তবায়নের কথা বললে আপনারা দেখবেন এখন কেউ মোটর সাইকেলে হেলমেট ছাড়া চড়ে না।
এরকম অনেক সুপারিশ আমরা ধীরে ধীরে বাস্তবায়নে যাচ্ছি।”

সুপারিশ করার পর এক বছর গড়িয়ে
যাওয়ায় বাস্তবায়নে বেশি সময় নেওয়া হচ্ছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
বলেন, “আমরা বেশি সময় নিইনি। কমিটি হওয়ার পরই সভা করেছি।”