প্রতিবাদ নজরদারিতে ড্রোনের ব্যবহার নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন গোপনতা বিষয়ে অধিকার কর্মীরা। এবার তাদের পক্ষেই রায় দিয়েছে আদালত।
বিবিসি’র প্রতিবেদন বলছে, ফ্রান্সের কাউন্সিল অফ স্টেট জানিয়েছে, প্যারিস পুলিশ প্রধান দিদিয়ের লালেমেন্তের উচিত “অবিলম্বে” জনগণের চলাচলের রাস্তায় মানুষের ভীড়ে ড্রোন নজরদারি বন্ধ করা।
পুলিশি ড্রোন ব্যবহারসহ আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে একটি বিতর্কিত নিরাপত্তা বিল নিয়ে আলোচনা চালাচ্ছে ফরাসি পার্লামেন্ট। এরই মধ্যে এমন সিদ্ধান্ত দিয়েছে কাউন্সিল অফ স্টেট।
পার্লামেন্টের ওই বিলের মূল লক্ষ্য, মানুষ কীভাবে পুলিশের ভিডিও বা ছবি শেয়ার করে, তা নীতিমালার আওতায় আনা।
গোপনতা অধিকার দল লা কোয়াদ্রেচার দু নেটের (এলকিউডিএন) দাবি, বিলের মূল ব্যবস্থা বাক স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করছে এবং ক্যামেরাযুক্ত ড্রোন শান্তি রক্ষা করে না, শুধু ব্যক্তির ওপর নজরদারি করে।
রায়ে কাউন্সিল অফ স্টেট বলেছে, লিখিত অনুমোদন এবং ড্রোনের ব্যবহার ঠিক করে না দিলে, ড্রোনের “বৈধতা নিয়ে গুরুতর শঙ্কা থাকে।”
এলকিউডিএন জানিয়েছে, সরকার শুধু একটি উপায়েই ড্রোন নজরদারি বৈধ করতে পারে, আর তা হলো, আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এমন “অসম্ভব প্রমাণ” দেখানো।
প্যারিস কর্তৃপক্ষের ড্রোন পরিকল্পনায় কয়েক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় বাধা আদালতের এই সিদ্ধান্ত। মে মাসে একই আদালত রায় দিয়েছিলো যে, ফ্রান্সের কঠোর লকডাউন আইন অমান্যকারী ব্যক্তির নজরদারিতে রাজধানীতে ড্রোন ব্যবহার করা যাবে না।
২২ অনুচ্ছেদের আওতায় নিরাপত্তা বিলটি নিয়ে এখন পার্লামেন্টে আলোচনা চলছে। এই বিলের কারণে ড্রোন বা হেলিকপ্টারের মাধ্যমে ধারণকৃত ছবি কমান্ড দলকে পাঠাতে পারবে সুরক্ষা বাহিনী। আর সম্ভাব্য তদন্তের জন্য ৩০ বা তারও বেশি দিনের জন্য ছবিগুলো মজুদ করা যাবে।
প্রথম পাঠে বিলটি পাস হওয়ায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুরু করেন দেশটির নাগরিকরা।
কৃষ্ণাঙ্গ সঙ্গীত প্রযোজক মিশেল জেক্লেয়ারকে পুলিশ লাথি ও ঘুষি মারছে এমন ছবিও ছড়িয়ে পড়েছে। প্রতিবাদকারীদের দাবি, নতুন বিল পুলিশি নীপিড়ন ফাঁস করতে মানুষের জন্য বাধা হবে।