এ মামলার শেষ তদন্ত কমকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফজলুর রহমানের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বুধবার ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই তারিখ নির্ধারণ করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষীরা আদালতে তাদের
সাক্ষ্যে যা
যা বলেছেন, তা আত্মপক্ষ সমর্থনের
দিন পড়ে শোনানো হবে আসামিদের। এরপর তাদের বক্তব্য জানতে চাওয়া হবে।
তাদের পক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কিনা, তাও জানতে চাইবেন বিচারক। কেউ সাফাই সাক্ষ্য দিলে তাদের নাম আদালতকে দিতে হবে আসামিদের।
এ মামলার অন্যতম আসামি আবু সিদ্দিক সোহেলের পক্ষে কেউ সাফাই সাক্ষ্য দেবেন না বলে
জানিয়েছেন তার আইনজীবী খায়রুল ইসলাম লিটন।
লেখক-প্রকাশক, অনলাইন অ্যাক্টিভিস্টদের উপর ধারাবাহিক হামলার মধ্যে ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের
আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে আক্রান্ত হন ফয়সাল আরেফীন
দীপন। তাকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
একই দিন রাজধানীর লালমাটিয়ার সি ব্লকে প্রকাশনা
প্রতিষ্ঠান শুদ্ধস্বরের কার্যালয়ে হানা দেয় দুর্বৃত্ত দল। তারা প্রকাশক আহমেদুর রশীদ চৌধুরী টুটুল, ব্লগার তারেক রহিম ও লেখক রণদীপম
বসুকে কুপিয়ে আহত করে।
দীপন হত্যা: চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াসহ ৮ আসামির বিচার শুরুর আদেশ
তার আগে ওই বছরই বাংলা
একাডেমির একুশে বইমেলা চলার সময় টিএসসিতে কুপিয়ে হত্যা করা হয় লেখক-ব্লগার
অভিজিৎ রায়কে। জাগৃতি ও শুদ্ধস্বর দুই
প্রকাশনা থেকেই বিজ্ঞান লেখক অভিজিতের বই প্রকাশিত হয়।
দীপন হত্যার ঘটনায় মামলার পর দীর্ঘ তদন্ত
শেষে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (দক্ষিণ) সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর আট
আসামির বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে অভিযোগপত্র দেন।
সেখানে বলা হয়, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম দীপন
হত্যাকাণ্ডে জড়িত, তাদের নেতা সৈয়দ জিয়াউল হকের পরিকল্পনা এবং নির্দেশেই দীপনকে হত্যা করা হয়।
মামলার আসামিরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম, মো. আ. সবুর, খাইরুল
ইসলাম, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল, মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. শেখ আব্দুল্লাহ, সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক এবং আকরাম
হোসেন ওরফে হাসিব। এর মধ্যে জিয়া
ও আকরাম পলাতক।
গতবছর ১৩ অক্টোবর আট
আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে এ মামলার বিচার
শুরু করে আদেশ দেয় আদালত।