বুধবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম
আলমগীর এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।
করোনাভাইরাস মহামারীর এক বছর পেরিয়ে আসার পর
যুক্তরাজ্যে ভাইরাসটির নতুন একটি ধরন শনাক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশ দেশটির সঙ্গে বিমান
যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। সৌদি আরবসহ কয়েকটি দেশ সব আন্তর্জাতিক ফ্লাইটই বন্ধ করে দিয়েছে।
বিবৃতিতে ফখরুল বলেন, “যুক্তরাজ্যে কোভিড-১৯
এখন মারাত্মক রূপ নিয়ে আবির্ভূত হওয়ার ফলে দেশটির সাথে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ বিমানের
ফ্লাইট বাতিল ঘোষণা করলেও বাংলাদেশ সরকার বিমান যেগুলো লন্ডন থেকে ঢাকায় আসে, সেগুলোও
বন্ধ করেনি।
“এতে দেশের মানুষের এক ভয়ঙ্কর স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে
পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আমি অবিলম্বে ঢাকা-লন্ডন রুটে দেশি-বিদেশি এয়ারলাইন্সের সকল ফ্লাইট
বন্ধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।”
বিমানের লন্ডন ফ্লাইট চালু রাখায় সরকারের সমালোচনা
করে ফখরুল বলেন, “এটি বর্তমান গণবিরোধী সরকারের ধারাবাহিক অমানবিক ও বিবেকবর্জিত কর্মকাণ্ডেরই
অংশ। সরকারের এহেন উদাসীনতায় আরেকটি প্রমাণ।”
বিমান চলাচল বন্ধ না করলেও যুক্তরাজ্য থেকে
আসা যাত্রীদের মধ্যে যাদের সঙ্গে করোনাভাইরাস পরীক্ষার ‘নেগেটিভ’ সনদ থাকবে না, তাদের
বাধ্যতামূলকভাবে সাত দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জাহিদ মালেক।
ফখরুল বলেন, “সরকার করোনা আক্রমণের শুরু থেকেই
সম্পূর্ণরূপে ভ্রূক্ষেপহীন থেকেছে। বাংলাদেশে করোনা আঘাত হানার শুরু থেকেই তা মোকাবেলায়
সরকার কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।
“যথাসময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলেই
এদেশের অসংখ্য মানুষ মৃত্যুবরণ করছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়ে জীবন
মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সংগ্রাম করছে।”
কোভিড-১৯ রোগীরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পাচ্ছে
না দাবি করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আইসিইউ বেড, অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটরসহ করোনা সংশ্লিষ্ট
অন্যান্য মেডিকেল সরঞ্জামাদির অভাবে আক্রান্ত মানুষ ভয়ানক কষ্ট পাচ্ছে। বিনা চিকিৎসায়
মৃত্যুকে আলিঙ্গন করতে হচ্ছে। দীর্ঘ ১০ মাসেও সরকার করোনা মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ
হয়েছে। দেশের মানুষের জীবনের কোন মূল্য নেই এই সরকারের কাছে “