বুধবার বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চলের বেকোজি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে; গ্রামটিতে একাধিক জাতিগোষ্ঠীর মানুষ বসবাস করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
স্থানীয় একটি ক্লিনিকের এক নার্স জানান, হামলায় আহত ৩০ জনেরও বেশি মানুষকে তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কারও কারও অবস্থা গুরুতর।
আহতদের বেশিরভাগই গুলিবিদ্ধ, বাকিরা ছুরিকাহত, বলেছেন ওই নার্স।
“সশস্ত্র ব্যক্তিদের গুলি ও অগ্নিসংযোগে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছে,” বিবৃতিতে বলেছে ইথিওপিয়ার মানবাধিকার কমিশন।
কারা এ হামলা চালিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তা স্পষ্ট হওয়া না গেলেও রাজ্য সরকারের মুখপাত্র বিয়েনি মেলেসি হামলায় দায় দিয়েছেন ‘শান্তি বিরোধীদের’।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ইথিওপিয়ায় জাতিগত সহিংসতার পুনরুত্থান নিয়ে আলোচনা করতে মঙ্গলবার বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চল সফর করেছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী আবি আহমেদ।
“শত্রুদের আকাঙ্ক্ষা হচ্ছে ইথিওপিয়াকে জাতি ও ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করা। তাদের ওই আকাঙক্ষা কখনও পূরণ হবে না,” সফর শেষে টুইটারে লিখেছিলেনও তিনি।
বিবিসি জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের পর থেকে ইথিওপিয়ার বেনিশাঙ্গুল-গুমুজ অঞ্চল অন্তত ৪টি প্রাণঘাতী হামলার সাক্ষী হয়েছে। এর মধ্যে নভেম্বরে যাত্রীবাহী একটি বাসে বন্দুকধারীদের হামলায় ৩৪ জন নিহত হয়েছিল।
অঞ্চলটিতে গত কয়েক মাসে যে সহিংসতা দেখা যাচ্ছে তার সঙ্গে তিগ্রাইয়ে সরকারি বাহিনীর অভিযানের কোনো সম্পর্ক নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।
উত্তরাঞ্চলে তিগ্রাই পিপলস লিবারেশন ফ্রন্টের (টিপিএলএফ) সঙ্গে সরকারিবাহিনীর নভেম্বরের সংঘাতে কয়েক হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংঘাতের কারণে তিগ্রাইয়ের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে পালিয়ে প্রতিবেশী সুদানে আশ্রয়ও নিতে হয়েছে।