বৃহস্পতিবার সকালে তাদের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে বলে জানান সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়।
প্রয়াতরা হলেন, শহরতলীর উত্তর ভাড়াউড়া এলাকার জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী সাহিদা বেগম ( ৪০) এবং তার
পুত্রবধূ নুরুননাহার (২৫)।
এ ঘটনায় প্রাণ হারানো নুরুননাহারের ছোট ছেলে নাইম (৮) অসুস্থ হয়ে শ্রীমঙ্গল
সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
শ্রীমঙ্গল সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায় জানান, খবর পেয়ে রাতেই
সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ভানুলাল রায়, শ্রীমঙ্গল কমলগঞ্জ সার্কেলের এএসপি আশরাফুজ্জামান,
শ্রীমঙ্গল থানার ওসি আব্দুস ছালেক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার দুপুরে তাদের বাড়িতে এ মাছ রান্না হয়। মাছগুলো ওই পরিবারের
ওই তিনজনই খেয়েছিলেন। জয়নাল মিয়া ও তার বড় ছেলে রুবেল মিয়া এ মাছ না খাওয়ায় তাদের কিছু
হয়নি।
জয়নাল মিয়া জানান, বিকেল সাড়ে ৩টার পর দুপুরের ওই তিনজন পটকা মাছ খেয়েছিলেন।
রাত ৮টার দিকে তাদের শরীরে জালাপোড়া শুরু হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে বমি হয়। এর পরপরই
মারা যান ওই দুইজন।
বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট জানাচ্ছে, এ মাছে বিষের উপস্থিতি স্থান,
ঋতু ও একক ভেদে ভিন্নতা দেখা যায়। বৈশাখ মাসে যে মাছটি বিষাক্ত, কার্তিক মাসে সেটাই
বিষহীন হতে পারে। কোনো কোনো মাছের চামড়া আবার কোনোটির মাংস বিষাক্ত হয়ে থাকে। গবেষণায়
দেখা গেছে পটকা মাছের চামড়া, যকৃত ও ডিম্বাশয়ে বিষের উপস্থিতি বেশি থাকে।
জাপানসহ বিভিন্ন দেশে এ মাছ খেয়ে অসংখ্য মানুষের মৃত্যু ঘটে থাকে। বাংলাদেশেও
অনেক মৃত্যুর ঘটনা রয়েছে। ২০০৮ এ মাছ খেয়ে একটি পরিবারের সবার মৃত্যুর বাংলাদেশ মৎস
গবেষণা ইনস্টিটিউট থেকে মাছ নিয়ে ব্যাপক গবেষণা চালানো হয়।
এ মাছ কোথাও কোথাও ট্যাপা মাছ নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের স্বাদু পানির ও
লোনা পানির দুই জাতের পটকা মাছ পাওয়া যায় বলছে বাংলাদেশ মৎস গবেষণা ইনস্টিটিউট।
সিলেট অঞ্চলে মাছটি ফুটকরা
মাছ নামে পরিচিত।