বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের ট্র্যাকে আগামী শনিবার শুরু হবে এই প্রতিযোগিতা। পুরুষ বিভাগে ৫টি এবং নারী বিভাগে ৪টি মিলিয়ে মোট ৯টি ইভেন্ট হবে।
বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবারের সংবাদ সম্মেলনে জানানো
হয়, ১৩২ জন পুরুষ ও এবং ৭৫ জন নারী সাইক্লিস্ট অংশ নেবেন এবারের প্রতিযোগিতায়। আগামীতে নারী ও পুরুষের সমতা আনতে সমান সংখ্যক নারী সাইক্লিস্টের অংশগ্রহণ নিশ্চত করার প্রতিশ্রুতিও দেন আয়োজকরা।
সংবাদ সম্মেলনে অবশ্য প্রতিযোগিতার চেয়ে ফেডারেশনের কমিটি নিয়ে চলা টানাপোড়েন নিয়ে বেশি প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয়েছে কর্মকর্তাদের। গত অক্টোবরে নতুন অ্যাডহক কমিটি দেয় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (এনএসসি)। এর আগে সাড়ে তিন বছরও ফেডারেশন চলেছে অ্যাডহক কমিটির অধীনে।
নতুন অ্যাডহক কমিটির সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম বিজয় দিবস সাইক্লিংয়ের পর দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের
প্রতিশ্রুতি দেন।
“নির্বাচিত কমিটি এবং অ্যাডহক কমিটির পার্থক্য অনেক এবং আপনারা এটা সবাই জানেন। অ্যাডহক কমিটির মূল কাজ নির্বাচন দেওয়া। আমাদের দ্বিতীয় মিটিংয়েই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এ প্রতিযোগিতা শেষ করে আমরা দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের বিষয় নিয়ে কাজ শুরু করব। আগের কমিটি নির্বাচন তো দেই-ইনি, উল্লেখযোগ্য কোনো কাজও করেনি। তখন কিন্তু করোনা ছিল না।”
“কিন্তু এই কমিটিকে চ্যালেঞ্জ করে বিগত কমিটির এক সদস্য হাইকোর্টে গিয়েছিল। অথচ যিনি পিটিশনার, তার কমিটির সাধারণ সম্পাদক নতুন কমিটির সাধারণ সম্পাদকের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেছিল। পরে হাইকোর্ট স্টে-অর্ডার দিয়েছিল, কিন্তু আমরা কোনো নোটিশ পাইনি। তবে যেহেতু মৌখিকভাবে হলেও বিষয়টি শুনেছিলাম, বলেছিলাম কাজ বন্ধ রাখতে। এরপর আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে স্টে-অর্ডার স্থগিত হয়েছে, আমরা কাজ শুরু করেছি। এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করছি।”