শুক্রবার এ উৎসব অনলাইনে দেখা যাবে “Sanjeeb Utshob- সঞ্জীব উৎসব” নামের ফেসবুক পেজ থেকে। ২০১০ সাল থেকে প্রতিবছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সঞ্জীব উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ’ আয়োজন করছে এ উৎসব। ৯ম বারের মতো আয়োজিত এ উৎসবে অংশ নেবেন সঞ্জীব অনুরাগী কিছু সংগীতশিল্পী, লেখক ও সাংবাদিক।
এবার উৎসবে গান ও স্মৃতিচারণ করবেন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল, আবিদা নাসরিন কলি, বাপ্পা মজুমদার, শেখ রানা, শুভ, পারভেজ, এলিটা করিম, জয় শাহরিয়ার, সিনা হাসান, সাহস মোস্তাফিজ ও মন, লালন মাহমুদ, ফারাবি, সুহৃদ স্বাগত, তুহিন, উদয় ও গানকবি।
সঞ্জীব উৎসবের অন্যতম আয়োজক সংগীতশিল্পী জয় শাহরিয়ার বলেন, ‘করোনা সতর্কতা মাথায় রেখেই এবার অনলাইনে আয়োজন। সঞ্জীব উৎসব দাদাকে ভালোবেসেই করা। এ উৎসবের মূল উদ্দেশ্য যারা দাদাকে কাছে পায়নি, তাদের কাছে দাদার গান ও গানের দর্শন পৌঁছে দেয়া’।
এ আয়োজনে সার্বিক সহযোগিতা করছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংস্কৃতিক সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যান্ড সোসাইটি এবং আজব কারখানা। অনলাইনে আয়োজিত হলেও রাত ৮.১৫ মিনিটে টিএসসির সঞ্জীব চত্বরে প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়েই উৎসব শুরু হবে। উৎসব শুরু হবে রাত আটটায়; চলবে রাত দশটা পর্যন্ত।
আমি তোমাকেই বলে দেবো, রঙ্গিলা, সমুদ্র সন্তান, জোছনা বিহার, তোমার ভাঁজ খোলো, চাঁদের জন্য গান, স্বপ্নবাজি প্রভৃতি কালজয়ী গানের সাথে জড়িয়ে আছে সঞ্জীব চৌধুরীর নাম। গাড়ি চলেনা, বায়োস্কোপ, কোন মিস্তরি নাও বানাইছে গানগুলো গেয়ে বাংলা লোকগানকে তিনি নাগরিক জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত করেছেন।
তিনি ছিলেন জনপ্রিয় ব্যান্ড ‘দলছুট’-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। দলছুটের চারটি অ্যালবামে কাজ করার পাশাপাশি অনেক গান রচনা ও সুর দিয়েছেন তিনি। ১৯৬৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলার মাকাল কান্দি গ্রামে জন্ম নেন এই শিল্পী । ২০০৭ সালের ১৯ নভেম্বর বাই লেটারেল সেরিব্রাল স্কিমিক স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।