শুক্রবার বিকেলে চট্টগ্রাম
জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীতে ১২ জন শিল্পীর ২৭টি চিত্রকর্ম স্থান
পেয়েছে। বাঙালির স্বাধীনতা আন্দোলনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভূমিকা, তার জীবন
ও কর্মকে উপজীব্য করে এসব আঁকা হয়েছে।
ছবিগুলো এঁকেছেন শিল্পী
আবদুল মান্নান, মো. মুনিরুজ্জামান, সৈয়দা মাহবুবা করিম, কাদের ভূঁইয়া, সঞ্জীব দাস,
কৃতি রঞ্জন বিশ্বাস, প্রশান্ত কর্মকার, এস এম মিজানুর রহমান, জাকির হোসেন, মনজুর রশিদ,
সৌরভ চৌধুরী ও মানিক বনিক।
প্রতিদিন বিকেল ৪টা
থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রদর্শনী সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। রোববার প্রদর্শনীটি শেষ
হবে।
ভারতীয় হাই কমিশনের
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার ও চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনের উদ্যোগে এবং
জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় এই চিত্র প্রদর্শনী হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “বিশ্বে অনেক গণজাগরণ হয়েছে।
কিন্তু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালি জাতিসত্তার মতো এত ধারাবাহিক জাগরণ কোনোটি নয়। ভাষা
আন্দোলন থেকে শুরু করে ছয় দফা, এরপর ঊনসত্তরের গণ-অভ্যুত্থান সর্বোপরি মুক্তিযুদ্ধের
বিজয়ের মাধ্যমে ভেসে গেছে এখানকার সাম্প্রদায়িক রাজনীতি।
তিনি বলেন, “ভারতের
সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। একই আলো বাতাসে আমরা বড় হচ্ছি। এ দেশে হিন্দু
মুসলিম বৌদ্ধ খ্রিস্টানের বসবাস। কোনো সাম্প্রদায়িক রাজনীতি এখানে থাকবে না। বঙ্গবন্ধুকে
হত্যা করে যারা ভেবেছিল চেতনাকে হত্যা করবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে। শেখ হাসিনার
নেতৃত্বে বাঙালি জাতীয়তাবাদে সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ।”
সাংসদ ওয়াসিকা আয়েশা
খান বলেন, “বঙ্গবন্ধু আজীবন অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির চর্চা করে গেছেন। সংবিধানে তিনি
ধর্মনিরপেক্ষতা সংযোজন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ নয়। জীবনের ১৪ বছর
তিনি কারাগারে কাটিয়েছেন। এ রকম বিভিন্ন প্রদর্শনীর মাধ্যমে তার জীবন ও কর্মের বিভিন্ন
দিক তুলে ধরতে হবে।”
স্বাগত বক্তব্যে চট্টগ্রামে
নিযুক্ত ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ্য ব্যানার্জি বলেন, “ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র,
ন্যায়বিচারের জন্য আজীবন লড়াই করেছেন বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি যেমন
শ্রদ্ধার, তেমনি ভারতবাসীর কাছেও শ্রদ্ধার পাত্র। একাত্তরে যেমন ভারত বাংলাদেশের পাশে
ছিল তেমনি ভবিষ্যতেও থাকবে।”