ক্যাটাগরি

‘ঋদ্ধিমানের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে, পান্তের সঙ্গেও’

অস্ট্রেলিয়ায় সবশেষ সফরে গত
বছরের জানুয়ারিতে সিডনিতে ১৫৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন পান্ত। আগের বছর ১১৪
রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইংল্যান্ড সফরে ওভালে। চলতি সফরে টেস্ট সিরিজের আগে প্রস্তুতি
ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের সঙ্গে করেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। প্রথম টেস্টে তবু পান্তকে বাইরে
রেখে একাদশে নেওয়া হয় ঋদ্ধিমানকে।

দুজনের মধ্যে বরাবরই ঋদ্ধিমানকে
বরাবরই কিপিংয়ে বেশি ভালো মনে করা হয়েছে, ব্যাটিংয়ে পান্তকে। প্রথম টেস্টে কিপিং যথারীতি
ভালোই করেন ঋদ্ধিমান, কিন্তু ব্যাট হাতে করেন ৯ ও ৪। দ্বিতীয় টেস্টে তাকে বাদ দিয়ে
নেওয়া হয়েছে পান্তকে।

একটি ইউটিউব চ্যানেলে গম্ভির
আপত্তি জানালেন সাহাকে এক টেস্ট খেলিয়েই বাদ দেওয়ায়।

ভারতীয় ক্রিকেটের নানা ইস্যুতে বরাবরই উচ্চকিত গৌতম গম্ভির

ভারতীয় ক্রিকেটের নানা ইস্যুতে বরাবরই উচ্চকিত গৌতম গম্ভির

“ এটা দুর্ভাগ্যজনক যে ঋদ্ধিমান
সাহা একটি মাত্র টেস্ট খেলল, ভালো না পড়ায় বাদ পড়ে গেল। এখন রিশাভ পান্ত যদি এই টেস্টে
বা পরের টেস্টে ভালো না করে, তাহলে তার সঙ্গে কী করা হবে! তাকেও বাদ দেওয়া হবে? সাহাকে
ফেরানো হবে?”

এই সফরের আগে বেশ কিছুদিন ধরেই
ঋদ্ধিমান ও পান্তের ক্ষেত্রে কন্ডিশনকে প্রাধ্যান্য দেওয়া হচ্ছে। দেশের মাটিতে টার্নিং
ট্র্যাকে কিপিং দক্ষতার জন্য বেছে নেওয়া হচ্ছিল ঋদ্ধিমানকে, দেশের বাইরে ব্যাটিং সামর্থ্যের
কারণে পান্তকে। তবে এই কৌশল একদমই পছন্দ নয় গম্ভিরের।

“ সত্যি বলতে, লম্বা সময় ধরে
সাহা ও পান্ত, দুজনের সঙ্গেই অন্যায় করা হচ্ছে কন্ডিশন অনুযায়ী তাদেরকে বেছে নেওয়ায়।
বোলারদের কন্ডিশন অনুযায়ী বেছে নেওয়া যায়, কিপারদের নয়। বিশ্বের আর কোনো দলই কন্ডিশন
অনুযায়ী কিপার বেছে নেয় না।”

“উপমহাদেশে ঋদ্ধিমান আর অন্য
জায়গায় পান্ত, এই তত্ত্বে আমার কখনোই আস্থা নেই। ভালো দল কখনোই এভাবে ভাবে না। দেশের
কন্ডিশনে ভালো হলে দেশের বাইরেও ভালো হওয়া উচিত।”

ঘনঘন পরিবর্তনের কারণে ক্রিকেটাররা
মানসিকভাবে থিতু হতেও পারছেন না বলে মনে করেন আইসিসি র‍্যাঙ্কিংয়ের একসময়কার এক নম্বর
ব্যাটসম্যান ও ২০০৯ সালে আইসিসির বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটার গম্ভির।

“ এই দলটা এ কারণেই নড়বড়ে,
কারণ দলে কেউই নিশ্চিত নয়। পেশাদার খেলাধুলায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার নিশ্চয়তা।
দেশের হয়ে যারা খেলে, প্রতিভা সবারই আছে। তাদের চাওয়া একটু নিরাপত্তা, দল যেন তাদের
পাশে থাকে। সেটা শুধু কথায় নয়, কাজেও।”