বড় অংকের এই বিল নিয়ে অসন্তুষ্ট ট্রাম্প এ সপ্তাহে বিলের সংস্কার দাবি করেন। ওই বিলের মধ্যে ৮৯২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের ত্রাণ সহায়তায় ব্যয় হবে। যার মধ্যে এ মহামারীর কারণে চাকরি হারিয়ে বেকার হয়ে পড়া মানুষদের জন্য বিশেষ অর্থ সহায়তাও অন্তর্ভুক্ত।
মহামারীর কারণে আমেরিকার লাখ লাখ মানুষ বেকার হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য সরকার থেকে যে সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে সেটার মেয়াদ ২৬ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে। নতুন তহবিল পাওয়া না গেলে তারা আর অর্থ সহায়তা পাবেন না। বিলের বাকি এক দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার সরকারের সাধারণ ব্যয় নির্বাহের জন্য।
যুক্তরাষ্ট্রের শ্রম অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মহামারীর মধ্যে সরকারের এই বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নয়। নতুন তহবিল না পাওয়ায় শনিবার থেকে দেশটির প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মানুষের ভাতা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। এছাড়া আগামী মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারও ব্যয় মেটানোর অর্থের অভাবে অচল হয়ে পড়বে।
কয়েকমাসের মতবিরোধের পর গত সপ্তাহান্তে রিপালিকান ও ডেমোক্র্যাটরা ওই বিলের বিষয়ে একমত হন। তখন হোয়াইট হাউজও ওই বিলে সমর্থন দিয়েছে।
আগামী ২০ জানুয়ারি জো বাইডেনের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করবেন ট্রাম্প। বিল নিয়ে প্রথম কোনো আপত্তি না জানালেও সোমবার রাতে ভোটের মাধ্যমে কংগ্রেসে বিল পাস হওয়ার পর বেঁকে বসেছেন তিনি।
ট্রাম্পের অভিযোগ, বিলে বিশেষ স্বার্থে, সাংস্কৃতিক প্রকল্পে এবং বৈদেশিক সহায্যে অতিরিক্ত অর্থ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে মহামারীর কারণে সংকটে পড়ে যাওয়া লাখ লাখ আমেরিকানকে উদ্দীপনা দিতে এককালীন চেক হিসেবে যে ছয়শ মার্কিন ডলার দেওয়া হচ্ছে সেটা খুবই কম। তিনি ওই অর্থ বাড়িয়ে দুই হাজার মার্কিন ডলার করার দাবি করেছেন।
বড়দিনের দিন এক টুইটে ট্রাম্প লেখেন, ‘‘কেন রাজনীতিকরা জনগণকে মাত্র ছয়শ ডলার দেওয়ার পরিবর্তে দুই হাজার ডলার দিতে চাইছে না?…আমাদের জনগণকে ওই অর্থ দিন।”
অনেক অর্থনীতিবীদও বলছেন, উদ্দীপনার জন্য যে অর্থ দেওয়া হচ্ছে তার পরিমাণ খুবই কম। কিন্তু তাৎক্ষনিক সহায়তা হিসেবে এটা খুবই প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা। তাই একে তারা স্বাগতই জানিয়েছেন।