এই ঘটনায় ওই কর্মকর্তার
(বিসিএস ক্যাডার) এক বন্ধুকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে লালবাগ থানার
পরিদর্শক (তদন্ত) খন্দকার হেলাল উদ্দিন জানিয়েছেন।
শুক্রবার রাত সাড়ে
১০টার দিকে ৩৭তম বিসিএসের কর্মকর্তা আনসারের সহকারী পরিচালক রোমানা ইয়াসমীনকে (৩০)
তার বাসা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক
মৃত বলে জানান।
শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে
লাশ তার গ্রামের বাড়ি বগুড়া নেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন
জানান, আজিমপুর সরকারি স্টাফ কোয়ার্টারের ৮ নম্বর ভবনের একটি ফ্লোরে ‘সাবলেট’ থাকতেন
রোমানা। বিসিএস (আনসার) ক্যাডারের সর্বশেষ ব্যাচের এই কর্মকর্তা আনসার শফিপুরে প্রশিক্ষণকালীন
সময় অতিবাহিত করছিলেন। বৃহস্পতিবার প্রশিক্ষণ শেষে তিনি চলে আসেন এবং ঘটনার দিন শুক্রবার
দুপুরে ‘কয়েকজন স্বজনের সঙ্গে খাবার খান’।
“পরিবার থেকে প্রায়
বিচ্ছিন্ন ছিলেন রোমানা। পরিবারের কারও সাথে তেমন যোগাযোগ হত না। এ নিয়ে তিনি বেশ হতাশায়
ছিলেন।”
পুলিশ রোমানার যে ছেলে
বন্ধুকে হেফাজতে রেখে জ্ঞিাসাবাদ করছে তার নাম ফিরোজ ওয়াদুদ্ (২৬)। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থী ফিরোজ আনসার কর্মকর্তা রোমানার চেয়ে বয়সে ছোট ছিলেন।
ফিরোজের বরাত দিয়ে
পুলিশ কর্মকর্তা হেলাল উদ্দিন জানান, রোমানা তার পরিবারের সমস্যা নিয়ে ফিরোজের সাথে
শুক্রবারও কথা বলেছেন। ফিরোজ রাত ৮টার দিকে নিউ মার্কেট এলাকায় বই কিনতে এসে রোমানার
সাথে দেখা করার জন্য ফোন দিয়ে বন্ধ পান।
“বেশ কয়েক বার ফোন
দিয়ে না পেয়ে নিউ মার্কেট থেকে হেঁটে হেঁটে রোমানার ফ্ল্যাটে এসে দরজা বন্ধ দেখতে পান।
পরে ডাকাডাকি করে না পেয়ে পাশের রুমের এক দম্পতির সহায়তায় রোমানার ঘরের দরজা ফাঁক করে
দেখেন সিলিংয়ের সাথে ঝুলে আছে।”
পরে তারা দরজা ভেঙে
রোমানাকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
খবর পেয়ে হাসপাতালে
গিয়ে মরদেহ পাওয়ার কথা জানিয়ে পরিদর্শক হেলাল উদ্দিন বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে,
পারিবারিক হতাশার কারণে রোমানা আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়ে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্ত
প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাচ্ছে না।
“আমরা ফিরোজের সাথে
কথা বলে রোমানার বিষয়ে তথ্য নেওয়ার চেষ্টা করছি।”
আনসারের উপ-পরিচালক
(জনসংযোগ) মেহনাজ তাবাস্সুম রেবিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রোমানা আমাদের
নবীন সদস্য। বর্তমানে তিনি প্রশিক্ষণকালীন সময় অতিবাহিত করছিলেন। তার সাথে কর্মক্ষেত্রকেন্দ্রিক
আমাদের কারও তেমন কোনো ঘনিষ্ঠতা এখনও গড়ে উঠেনি। ফলে তার বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি।
“তদন্তে পুলিশকে সব
ধরনের সহায়তা করা হচ্ছে।”