ক্যাটাগরি

দুর্ঘটনায় আহতদের পুলিশ বক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরিকল্পনা

এ লক্ষ্যে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা দুই সপ্তাহের ফায়ার ফাইটিং ও জরুরি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার প্রশিক্ষণ নিয়েছেন।
তাদের কাজের জন্য পুলিশ বক্সকে নাগরিক সেবা দেওয়ার কেন্দ্র হিসেবেও গড়ে তোলা হচ্ছে।

ঢাকা মহানগর
পুলিশ কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম শনিবার শন্তিনগর মোড়ে এ ধরনেই একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ও নাগরিক সেবা কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।

এ সময় তিনি বলেন, সড়কে যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা অপরাধের ক্ষেত্রে ট্রাফিক পুলিশের এগিয়ে আসার বিষয়টি নতুন
কিছু নয়। নতুন এই পরিকল্পনায় দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তিকে পুলিশ
বক্সে/নাগরিক সেবা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর কাজ করার প্রত্যয়
নিয়ে মাঠে নামানো হয়েছে। তাছাড়া আগুন লাগলে দ্রুত অগ্নিনির্বাপন
যন্ত্র দিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজটির ব্যাপারেও প্রশিক্ষণ নিয়েছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। যদিও এসব কাজ ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা প্রাথম থেকে
করে থাকেন। তবে এবার নামছেন ভিন্নভাবে।

তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ ঝড়, বৃষ্টির সময় আশ্রয় নেওয়ার মতো ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের কোনো জায়গা থাকে না। থাকে না কোনো শৌচাগার। ফলে এই
ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা কিডনি রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।

“সেবা দেওয়ার মানসে এসব দিক বিবেচনা করেই সিটি কপোরেশনের
সাথে আলোচনা করে ফ্লাইওভারের নিচে অব্যবহৃত জায়গায় ট্রাফিক
পুলিশ বক্স ও নাগরিক সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে।”

এরইমধ্যে
মতিঝিল বিভাগে ২০টি পুলিশ বক্সকে পুলিশ বক্সের পাশাপাশি নাগরিক সেবা কেন্দ্র হিসাবে
গড়ে তোলা হয়েছে জানিয়ে মতিঝিল বিভাগের (ট্রফিক) উপ-কমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান, ট্রাফিকের দায়িত্ব পালনের পাশপাশি কোনো নাগরিক
অসুস্থ হলে বা দুর্ঘটনায় পড়লে বা কোথাও আগুন লাগলে প্রয়োজনীয়
সব প্রাথমিক ব্যবস্থা নেবেন ট্রাফিক
পুলিশ সদস্যরা।

এজন্য এসব
কেন্দ্রে সুপেয় পানি,
অগ্নি নির্বাপক যন্ত্র, স্ট্রেচারসহ প্রাথমিক
চিকিৎসার সরঞ্জাম রাখা হচ্ছে। প্রশিক্ষণ নিয়ে এরইমধ্যে তারা মাঠে নেমেছেন।

পর্যায়ক্রমে
রাজধানীর সব ট্রাফিক বক্সে বা তার পাশে ট্রাফিক পুলিশের তত্ত্বাবধানে নাগরিক
সেবা কেন্দ্র গড়ে তোলার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ কমিশনার।