ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শনিবার ২-০ গোলে জিতে পয়েন্ট টেবিলে
শীর্ষ পাঁচে ফিরেছে সিটি। দুই অর্ধে একটি করে গোল করেন ইলকাই গিনদোয়ান ও ফেররান
তরেস।
লিগে নিজেদের মাঠে নিউক্যাসলের বিপক্ষে এই নিয়ে টানা ১২
ম্যাচ জিতল সিটি। সবশেষ তাদের মাঠ থেকে নিউক্যাসল জয় নিয়ে ফিরেছিল ২০০০ সালের
সেপ্টেম্বরে, ১-০ গোলে।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে একচেটিয়া আধিপত্য করা সিটি
চতুর্দশ মিনিটে গোলের উদ্দেশে প্রথম শটেই পায় সাফল্য। রাহিম স্টার্লিংয়ের বাড়ানো
বলে কাছ থেকে দলকে এগিয়ে নেন গিনদোয়ান।
খানিক বাদে চার মিনিটের মধ্যে কেভিন ডে ব্রুইনে ও তরেসের
দুটি প্রচেষ্টা ফেরান নিউক্যাসল গোলরক্ষক কার্ল ডারলো।
৩৫তম মিনিটে গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে পারেননি ডে
ব্রুইনে। তরেসের থ্রু বল ধরে ডি-বক্সে ঢুকে বেলজিয়ান মিডফিল্ডারের নেওয়া শট পা
দিয়ে ঠেকান ডারলো।
৫৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তরেস। ডান দিক থেকে
জোয়াও কানসেলোর ক্রস ঠিকমতো ক্লিয়ার করতে পারেননি সফরকারী ডিফেন্ডার ফেদেরিকো
ফের্নান্দেস। কাছ থেকে সহজেই বল জালে পাঠান স্প্যানিশ ফরোয়ার্ড তরেস।
চার মিনিট পর বাড়তে পারতো ব্যবধান। ভালো জায়গায় থেকে
স্টার্লিং শট নিতে ব্যর্থ হওয়ার পর বের্নার্দো সিলভার প্রচেষ্টা পোস্টে লেগে ফেরে।
৮১তম মিনিটে ভালো একটি সুযোগ পান তরেসের বদলি নামা
সের্হিও আগুয়েরো। কাছ থেকে এই আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের নেওয়া শট ফেরান গোলরক্ষক।
১৪ ম্যাচে সাত জয় ও পাঁচ ড্রয়ে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচ
নম্বরে উঠেছে সিটি। সমান ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ১২তম স্থানে নিউক্যাসল।
চেলসিকে ৩-১ গোলে হারানো আর্সেনাল ১৫ ম্যাচে ১৭ পয়েন্ট
নিয়ে ১৪তম স্থানে আছে। ২৫ পয়েন্ট নিয়ে সাতে চেলসি।
লেস্টার সিটির সঙ্গে ২-২ ড্র করা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড
১৪ ম্যাচে ২৭ পয়েন্ট নিয়ে চারে আছে। এক ম্যাচ বেশি খেলে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে
লেস্টার।
শেফিল্ড ইউনাইটেডের বিপক্ষে ১-০ গোলে জেতা এভারটন
লেস্টারের সমান ১৫ ম্যাচে ২৯ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উঠেছে।
১৪ ম্যাচে ৩১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে গতবারের চ্যাম্পিয়ন
লিভারপুল।