ক্যাটাগরি

ট্রাম্পকে কোভিড প্রণোদনা বিলে সই করার আহ্বান বাইডেনের

শনিবারের মধ্যে ট্রাম্প স্বাক্ষর করে বিলটিকে আইনে পরিণত না করলে বেকারদের ভাতা ও উচ্ছেদের উপর নিষেধাজ্ঞাসহ অনেককিছুর উপরই এর প্রভাব পড়বে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।  

কয়েক মাসের দরকষাকষির পর গত সপ্তাহে পাস হওয়া বিলে ৯০ হাজার কোটি ডলারের যে প্রণোদনা প্যাকেজ রয়েছে তাতে বছরে ৭৫ হাজার ডলারের নিচে আয় করা মার্কিনিদের এককালীন ৬০০ ডলার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল।

ট্রাম্প এককালীন এ অর্থের পরিমাণ ২ হাজার ডলার করতে চাইছেন; যদিও কংগ্রেসের রিপাবলিকানরাই এখন বিলে সংশোধনী আনতে রাজি হচ্ছেন না।

বিলে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্তদের অর্থনৈতিক প্রণোদনার সঙ্গে ১ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের কেন্দ্রীয় বাজেটও জুড়ে দেওয়া হয়েছিল। ট্রাম্প স্বাক্ষর না করায় এখন মঙ্গলবার থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের একাংশ অচল হওয়ার ঝুঁকিতে পড়েছে।

বিবিসি জানিয়েছে, মঙ্গলবারের আগেই আইনপ্রণেতারা কেন্দ্রীয় বাজেট নিয়ে আলাদা বিল পাস করে এ সংকট সামাল দিতে পারেন; তবে সেই বিলে করোনাভাইরাসজনিত প্রণোদনার অংশ থাকবে না। দ্রুত বিলটি পাসের পর সেটিকে আইনে পরিণত করতে হলে ট্রাম্পের স্বাক্ষরেরও প্রয়োজন পড়বে।

ট্রাম্পের অনড় অবস্থানের কারণে বেকারভাতা ও নতুন প্রণোদনার চেক না পেলে প্রায় এক কোটি ৪০ লাখ মার্কিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন গণমাধ্যম।

শনিবার ট্রানজিশন ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন কড়া ভাষায় ট্রাম্পের বিলে সই করতে অস্বীকৃতি জানানোর সমালোচনা করেন। একে ‘দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা’ বলেও অভিহিত করেন ২০ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিতে যাওয়া এ ডেমোক্র্যাট।

“আজ বড়দিনের পরেরদিন; অথচ লাখো পরিবার জানে না তারা শেষ পর্যন্ত তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে কিনা, কেননা প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসে বিপুল ব্যবধানে পাস হওয়া এবং দুই দলের সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশের সমর্থন পাওয়া একটি অর্থনৈতিক সহায়তা বিলে সই করেননি,” বলেছেন তিনি।

বিলটি তৈরিতে কংগ্রেস সদস্যরা নিজ নিজ অবস্থান থেকে যে ধরনের ছাড় দিয়েছে বাইডেন তার উচ্ছ্বসিত প্রশংসাও করেন।

“প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পেরও উচিত তাদের সঙ্গে যোগ দেওয়া; লাখো আমেরিকান যেন তাদের টেবিলে খাবার রাখতে পারে এবং ছুটির এ মৌসুমে মাথার উপর ছাদ রাখতে পারে তা নিশ্চিত করা,” বলেছেন তিনি। 

বাইডেনের এমন আহ্বানের পরও বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার চাহিদার ব্যাপারে অনড়। “আমি কেবল চাই আমাদের মহান মানুষেরা যেন বিলে থাকা অতি নগণ্য ৬০০ ডলারের পরিবর্তে ২ হাজার ডলার পায়,” টুইটারে লিখেছেন তিনি।