রোববার
ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে মামলার
আরও দুজন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
তারা
হলেন- সিআইডির পরিদর্শক নাজমুল হোসেন এবং বুয়েটের শিক্ষার্থী আব্দুল মবিন ইবনে হাফিজ
প্রত্যয়।
জবানবন্দি
দেওয়ার পর আসামি পক্ষের আইনজীবীরা হাফিজকে জেরা করেন। মবিনের জেরা শেষ না হওয়ায় আগে
শুনানি মুলতবি হয়। ৩০ ডিসেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের পরবর্তী তারিখ ঠিক করেছেন বিচারক।
মামলার
রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবু আবদুল্লাহ ভূঞা জানান, এ নিয়ে মোট ৬০ সাক্ষীর মধ্যে ৪১ জনের
সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল।
আলোচিত
এই মামলায় ৩৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণের পর ১৬ আসামি মো. কামরুজ্জামানের আদালতের উপর অনাস্থা
জানিয়ে হাই কোর্টে গিয়েছিলেন। ওই আবেদন উত্থাপিত হয়নি মর্মে খারিজ হয়ে গেলে পুনরায়
সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হল।
আবরার হত্যা: আদালত পরিবর্তনের আবেদনে সাড়া মেলেনি
আবরার হত্যামামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ ২৭ ডিসেম্বর ফের শুরু
বুয়েটের
শেরেবাংলা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী আবরারকে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে ছাত্রলীগের কয়েকজন
নেতাকর্মী একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে বেদম মারধর করে। এতে তার মৃত্যু হয়।
পরদিন আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ কুষ্টিয়া
থেকে এসে ১৯ বুয়েটছাত্রকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা করেন।
এক মাস পর ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর ২৫ জনকে
অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান। গত ১৫
সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন হয়।
গত ১৫ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের
জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে মামলাটি ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তর করে
আদেশ জারি হয়। আসামি
২৫ জন, তারা সবাই বুয়েট শিক্ষার্থী। তার মধ্যে ২২ জন কারাগারে
আছেন। কারাবন্দি আসামিদের ৮ জন আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিন আসামি এখনও পলাতক।