চলমান মহামারী পরিস্থিতির কারণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবার অনুষ্ঠানে উপস্থিত
থাকতে পারেননি। তার পক্ষে নির্বাচিতদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন ও শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার।
এবার বৃহৎ শিল্পখাতে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস এবং যৌথভাবে তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ ও এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং।
মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে তাফরিদ কটন মিল প্রথম, অকোটেক্স ও শেলটেক টেকনোলজিস যৌথভাবে দ্বিতীয় এবং এনভয় ফ্যাশন তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
ক্ষুদ্র শিল্পে কনসেপ্ট নিটিং প্রথম, মেসার্স এপিএস ডিজাইন ওয়ার্কস দ্বিতীয় এবং সামিট অয়েল অ্যান্ড শিপিং কোম্পানি তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে।
মাইক্রো শিল্পে ট্রিম টেক্স বাংলাদেশ প্রথম, মাসকো ওভারসিজ দ্বিতীয় এবং ক্রিমসন রোসেলা সি ফুড পেয়েছে তৃতীয় পুরস্কার।
কুটিরশিল্পে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ক্লাসিক্যাল হ্যান্ডমেইড প্রোডাক্টস, দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছে ইন্টেলিজেন্ট কার্ড লিমিটেড এবং তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে রূপকথা কুটিরশিল্প উন্নয়ন সংস্থা।
হাইটেক শিল্পে সার্ভিস ইঞ্জিনকে প্রথম পুরস্কার এবং মেটাট্যুড এশিয়া লিমিটেডকে দ্বিতীয় পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।
পুরস্কার হস্তান্তর অনু্ষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী বলেন, “চতুর্থবারের মতো এই আয়োজন। মানুষ ভালো কাজের স্বীকৃতি চায়। আমরা শিল্পোদ্যোগের ভালো কাজের উৎসাহ দিতে এধরনের পুরস্কার চালু করেছি। এছাড়াও মন্ত্রণালয় বিভিন্ন পুরস্কার দিয়ে আসছে।”
শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, “যারা পরিচ্ছন্নভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছেন, নিয়মিত ভ্যাট-ট্যাক্স দিচ্ছেন, নিয়মিত গ্যাস বিদ্যুতের বিল পরিশোধ করছেন, শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি দিচ্ছেন তাদেরকে এই পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়েছে।”
এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানে বলেন, ২০২০ সালে বাংলাদেশ একটি কঠিন সময় পার করেছে।
“সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে কভিড-১৯ এর শক ভালোভাবেই অ্যাবজর্ভ করেছে। এখন নতুন করে আরেকটি শিল্প সহায়তা নীতি আসছে।”
শিল্পের দ্রুত বিকাশের লক্ষ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে গ্রামমুখী ঋণ তৎপরতা বাড়ানোর আহ্বান জানান ফাহিম।
অনু্ষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্প সচিব কে এম আলী আজম।