জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও পৌরসভা নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলমগীর জানান, কালেক্টরেট আদর্শ শিক্ষা নিকেতন কেন্দ্রের সামনে সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, “কেন্দ্র পরিদর্শন করে ফেরার পথে পেছন দিক থেকে লাঠি হাতে কয়েকজন যুবক দৌড়ে এসে আমার গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে এবং গাড়ির পেছনের গ্লাস পুরোটাই ভেঙে ফেলে।
“তাৎক্ষণিকভাবে আইন শ্ঙ্খৃলাবাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে কারা এ ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত তাৎক্ষণিক জানা যায়নি।”
সোমবার সকাল ৮টা থেকে ১৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, শীত উপেক্ষা করে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে (ইভিএম) ভোট দিতে সকাল থেকেই ছিল ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি। পুরুষ ভোটারদের পাশাপাশি মহিলা ভোটাররাও দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভোট দিতে। ভিড় দেখে অনেকে পরে এসে ভোট দিবেন জানিয়ে ফিরেও যান।
এর মধ্যেও কয়েকটি জায়গায় প্রার্থীদের সমর্থকের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তুলারডাংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার অহিদুল ইসলাম জানান, দুপুরে কাউন্সিলর প্রাথী হাসনাত হামিদুর রহমান ও রফিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হাসনাতের ছোট দুই ভাই সবুজ ও শিশির, তার সমর্থক ফরহাদ ও আবির আহত হয়।
এদের মধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় শিশির ও আবিরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া নতুনবস্তি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কাউন্সিলর প্রার্থী সফিকুল ইসলাম ও জাকির হোসেনের সমর্থকদের মধ্যেও দুপুরে সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানান রাজনগরের বাসিন্দা কামরুজ্জামান কুয়েত।
তবে ভোটগ্রহণ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে।
সংবাদ কর্মী হারুণ অর রশিদ বলেন, সকাল ৯টার দিকে সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাকিয়া খাতুন ও বিএনপির প্রার্থী তৌহিদুল ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা পরিস্থিতি শান্ত করেন।
পঞ্চগড় সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাডিং অফিসার মো. রুবেল হোসেন বলেন, “সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রে নারী ও পুরুষ ভোটাররা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট প্রদান করছেন। এখানে কোন সমস্যা নেই।”
সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মোজাম্মেল হক বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ প্রায় শেষের পথে। এখন ভোটার আসছে কম; তবে দুপুর পর্যন্ত ভোটারদের অংশগ্রহণ ছিল উৎসবের মত।
“বাইরে কি হয়েছে জানি না তবে ভেতরে অপ্রীতিকর কিছু ঘটেনি।”