স্থানীয় সময় শুক্রবার রাতে দেশটির সরকারের পক্ষ থেকে এ ঘোষণা আসে।
এতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর মতো বৈশ্বিক দুর্যোগে যেসব অভিবাসী বৈধ কাগজ না থাকায় সরকারি বিভিন্ন সেবা, জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা, স্যোশাল সিকিউরিটি থেকে সহায়তা পাচ্ছেন না তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার সব অনিয়মিত অভিবাসীদের নিয়মিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অ্যাসাইলামের মাধ্যমে আশ্রয়প্রার্থীরাও এর আওতাধীন থাকবেন।
ঘোষণায় আরও বলা হয়, আপাতত চলতি বছরের ১ জুলাই পর্যন্ত এটি জারি থাকতে পারে। ১৮ মার্চ পর্তুগালে জরুরি অবস্থা জারির দিন পর্যন্ত যারা ইমিগ্রেশন সেন্টারে নিয়মিত হওয়ার জন্য আবেদন করেছেন তারা এর আওতাধীন থাকবেন, ইমিগ্রেশন আর্টিকেল ৮৮ ও ৮৯, ৯০ অনুচ্ছেদের অধীনে যারা আবেদন করেছেন।
এ ব্যাপারে লিসবনে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে টেলিফোনে রাষ্ট্রদূত মো. রুহুল আলম সিদ্দিকী বলেন, “এমন একটি খবর খুবই আনন্দের। বিশেষ করে অনিয়মিত বাংলাদেশি যারা রয়েছেন তাদের অনেকেই উদ্বিগ্ন ছিলেন। আমি মানবিক পর্তুগিজ সরকারকে অভিনন্দন জানাই।”
রাষ্ট্রদূত জানান, দূতাবাসে ২০১৮ সালে মোট ৬৬৫ জন এবং ২০১৯ সালে মোট ১ হাজার ৮৫১ জন অনিয়মিত অভিবাসী নিবন্ধন করেন। তবে তাদের বেশিরভাগই ভিসাবিহীন। ধারণা করা যাচ্ছে ভিসাবিহীন ও ভিসাসহ মোট তিন থেকে চার হাজার বাংলাদেশি এ মুহূর্তে পর্তুগালে অবস্থান করছেন।
প্রবাস পাতায় আপনিও লিখতে পারেন। প্রবাস জীবনে আপনার ভ্রমণ,আড্ডা,আনন্দ বেদনার গল্প,ছোট ছোট অনুভূতি,দেশের স্মৃতিচারণ,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক খবর আমাদের দিতে পারেন। লেখা পাঠানোর ঠিকানা probash@bdnews24.com। সাথে ছবি দিতে ভুলবেন না যেন! |