ক্যাটাগরি

চালনা পৌর নির্বাচন বর্জন বিএনপি প্রার্থীর

এই
প্রার্থীর পক্ষে তার প্রধান নির্বাচনী প্রতিনিধি উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল
মান্নান খান সোমবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন।

সোমবার
দেশের ২৪টি পৌরসভায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ হয়েছে। করোনাভাইরাস
সংক্রমণের মধ্যে ভোটার উপস্থিতি নিয়ে সংশয়ের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সকাল ৮টায়
শুরু হয় ভোটগ্রহণ, তা চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

সংবাদ
সম্মেলনে আব্দুল মান্নান খান বলেন, একজন প্রার্থীর পক্ষে দলের নেতাকর্মীরা ভোটারদের
তার প্রতীকে ভোট দিতে বাধ্য করছে। ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে।

“তাই
ধানের শীষের প্রার্থী মো. আবুল খয়ের খান নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।”

আবুল
খয়ের খান বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ থাকায় খুলনা নগরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং প্রথম থেকে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় নামেননি, বলেন মান্নান খান।

এদিকে,
স্বতন্ত্র প্রার্থী অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলও ভোটে নানা অনিয়মের অভিযোগ করেছেন।

আরেক
স্বতন্ত্র প্রার্থী গৌতম কুমার রায় বলেন, “আমার এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া
হয়।”


ব্যাপারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সনত কুমার বিশ্বাস বলেন, “ভোট সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।”

দাকোপ
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা কাজী মাহামুদ হোসেন
বলেন, “মৌখিকভাবে শুনেছি বিএনপি ভোট বর্জন করেছে। নির্বাচনের দ্বিতীয়ার্ধে তো বিএনপি
ভোট বর্জনের এমন কাজ করে থাকে। এত সুন্দর ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার নির্বাচনের পরও বিএনপি
যদি ভোট বর্জন করে তাহলে করার কিছু নেই।”

খুলনা
আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. ইউনুচ আলী বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট হয়েছে। সকালে ভোট গ্রহণের শুরুতে কেন্দ্রগুলোয় লোকজনের
লম্বা সারি দেখা গেছে। বিশেষ করে নারীদের লাইন ছিল অনেক দীর্ঘ।”

তিনি
আরও বলেন, “ইভিএমে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর আমাদের
কাছে নেই।”

দাকোপ
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা কাজী মাহামুদ হোসেন বলেন, খুলনার দুটি পৌরসভার একটি হলো
চালনা। এই পৌরসভায় মোট ভোটার ১২ হাজার ১০০ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫ হাজার ৮৬৩ এবং নারী
ভোটার ৬ হাজার ২৩৭ জন। পৌরসভার নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ২৭ জন এবং তিনটি
সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মাহামুদ
হোসেন জানান, মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান
মেয়র সনত কুমার বিশ্বাস, ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. আবুল খয়ের
খান, জগ প্রতীক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র অচিন্ত্য কুমার মণ্ডল এবং নারকেল
গাছ প্রতীক নিয়ে গৌতম কুমার রায় প্রতিদ্বন্দ্বিয় ছিলেন।

চালনা
বাজারের বাসিন্দা সাংবাদিক গোলাম মোস্তাফা খান বলেন, ২০০৪ সালের নভেম্বরে চালনা পৌরসভার
যাত্রা শুরু হয়। ওই সময় বিএনপি নেতা মো. আবুল খয়ের খান পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব
পালন করেন।

২০১১
সালের নির্বাচনে সাবেক মেয়র অচিন্ত্য কুমার মণ্ডলের কাছে পরাজিত হন বর্তমান মেয়র সনত
কুমার বিশ্বাস।

মোস্তাফা
আরও জানান, ২০১৫ সালের নির্বাচনে এর উল্টো হয়। সনত বিশ্বাস আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে
বিজয়ী হন এবং বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শেখ আব্দুল মান্নান তৃতীয় হন। ওই নির্বাচনে অচিন্ত্য
মণ্ডল আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন।