সোমবার নগর বিএনপির উদ্যোগে সিটি নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি একথা বলেন।
নগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত বলেন, “বিএনপি সিসিসি নির্বাচনের জন্য শতভাগ প্রস্তুত। তবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা সন্দিহান। আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব- সেই উৎসবমুখর পরিবেশ এখন ধ্বংস হয়ে গেছে। বর্তমান নির্বাচনের সার্বিক চিত্র গণতন্ত্রের জন্য একটি আঘাত।
“নির্বাচনের প্রতি জনগণের যে অনীহা, ভোটাররা যে অনাস্থা প্রকাশ করছেন সেটি একটি অশুভ লক্ষণ। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিয়েছে জয়ের জন্য। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে পারলে আর ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে বিএনপির বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।”
ডা. শাহাদাত বলেন, “ভোটারদের ভোট কেন্দ্রমুখী করতে আমাদের কাউন্সিলর প্রার্থীদের ঘরে ঘরে গিয়ে মা-বোনদের বোঝাতে হবে এবং তাদেরকে ভোট কেন্দ্রে নিয়ে আসতে হবে।
“আর প্রশাসনকে নিরপেক্ষ ভূমিকার পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা বিধান করতে হবে যেন নির্বিঘ্নে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে আসতে পারে। এই জন্য নির্বাচন কমিশন ও পুলিশসহ দায়িত্বে থাকা সকলকে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।”
নগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, “বর্তমান সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে দিয়েছে। নিজেদের অপকর্মে জনবিচ্ছিন্ন হয়ে ভোটারদের ওপর তারা বিশ্বাস রাখতে পারছে না। তারা উপলব্ধি করছে তাদের পায়ের তলে মাটি নেই। ক্রমশ গণশত্রুতে পরিণত হয়েছে তারা।
“যুগে যুগে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত পতিত স্বৈরশাসকদের প্রেতাত্মা ভর করেছে এই ভোট ডাকাত সরকারের ঘাড়ে। তারা গায়ের জোরে আজীবন ক্ষমতায় থাকার গভীর দুরভিসন্ধি পূর্ণ করতে চাচ্ছেন। এখন তার দলের নেতারা প্রকাশ্যে তাদের নেত্রীর অভিলাষের কথা বলে বেড়াচ্ছেন।”
দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান বলেন, “এবারের নির্বাচনে ইভিএমে ভোট হবে। তাই ভোটার আইডি কার্ড ছাড়া কাউকে ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়ার পাশাপাশি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নিবার্চন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনকে ভূমিকা রাখতে হবে।”
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, সৈয়দ আজম উদ্দিন, এসএম সাইফুল আলম, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, কাউন্সিলর প্রার্থী মো. শাহ আলম, ইস্কান্দার মির্জা, আব্দুল মান্নান, শামসুল আলম, মাহবুবুল আলম, জাহাঙ্গীর আলম দুলাল ও আবুল হাসেম প্রমুখ।