ক্যাটাগরি

‘কিছু নেতার’ প্রশ্রয়ে দলে বহিরাগত: নাছির

সোমবার ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সাবেক ছাত্রনেতা এস এম আলমগীরের শোক সভায় একথা বলেন তিনি।

সাবেক সিটি মেয়র নাছির বলেন, “কোন কোন সিনিয়র নেতার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে দলের ভেতরে বহিরাগত ও অবাঞ্ছিত
লোকজন ঢুকে পড়েছে। এরা দল ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হওয়ার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“এদের শনাক্ত করে বহিষ্কার করাতো হবেই, এমনকি যারা তাদেরকে কুমতলবে আশ্রয়- প্রশ্রয় দিয়েছেন তাদেরকেও সাংগঠনিক শাস্তির আওতায় আনার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করা হবে।”

তিনি বলেন, “আমাদের মধ্যে নেতা হওয়ার প্রতিযোগিতা থাকবেই, কিন্তু তা সুশৃঙ্খলভাবে,
দলীয় ও সাংগঠনিক বিধি-বিধান মেনে নিয়ে। দলে শুদ্ধি অভিযান চলছে, তাই আমরা পরস্পরবিরোধী পরনিন্দা, পরচর্চা ও সমালোচনা করি। এটা কিছুতেই শোভনীয় নয়, বরং আত্মঘাতী।

“সবচাইতে বেশি প্রয়োজন আত্মসমালোচনা করা। এতে নিজে শুদ্ধ হওয়া যায় এবং দলের ভাবমূর্তিকেও উজ্জ্বল করা যায়।”

নাছির বলেন, “নগর আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনের নগর, থানা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের অনেক কমিটি মেয়াদোর্ত্তীণ হয়ে গেছে। কোনো কোনো কমিটির মেয়াদ ১০-১২ বছর আগেই শেষ হয়ে গেছে। এর ফলে পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের পদায়ন হচ্ছে না। তাই তাদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে।

“এই করোনাকালে মহানগর স্তর থেকে থানা ওয়ার্ড ও ইউনিট পর্যায়ে আমরা ৬৪ জন নেতাকর্মীকে হারিয়েছি। যারা দলের সম্পদ ছিলেন। তাদের মতো যারা সম্পদ আছেন তাদেরকে মহানগর থেকে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সঠিক নেতৃত্বের আসনে আনতে পারলে দলের জন্য সবচেয়ে বেশি মঙ্গলজনক হবে।”

সভায় নগর কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “দল এক যুগেরও সময়ের কাছাকাছি ক্ষমতায় থাকায় অনেক সুযোগ সন্ধানী বহিরাগত ঢুকে পড়ায় পরীক্ষিত, ত্যাগী ও দুঃসময়ের নেতাকর্মী কোণঠাসা হয়ে যাচ্ছেন। এটা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না।

“কারণ এরাই দলের মূল সম্পদ, যারা কখনও আদর্শচ্যুত হতে পারেন না। আমরা তাদেরকে অবশ্যই মূল্যায়ন করতে চাই এবং নেতৃত্বের আসনে টেনে আনার জন্য নিরলস প্রয়াস অব্যাহত থাকবে।”

মাহতাব বলেন, “এস আলমগীর অকালে ঝরে গেলেন। তিনি সংগঠনের দুঃসময়ের কান্ডারি ছিলেন। তার মতো একজন দলীয় নেতার মৃত্যু আমাদেরকে শোকাহত করেছে। এ শোককে শক্তিতে পরিণত করে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাদের সামনের কাতারে আনতে চাই।”

জহুরুল আলম জসিম ও এরশাদ মামুনের যৌথ সঞ্চালনায় উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত এই শোক সভায় সভাপতিত্ব করেন কাজী আলতাফ হোসেন।

বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, কার্যনির্বাহী সদস্য হাজী বেলাল আহমেদ, মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের সুলতান আহমেদ চৌধুরী, নিয়াজ আহমেদ, মোজাফফর আহমেদ মাসুম, মোহাম্মদ জাহিদ, ফয়েজ আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইকবাল চৌধুরী, ওহিদুল আমিন, মুজিবুর রহমান শরীফ প্রমুখ।