ক্যাটাগরি

তৃতীয় দফায় ভারত থেকে আসবে আরও ৫০ হাজার টন চাল

বুধবার
সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৭তম (ভার্চুয়াল) সভায় এ ক্রয়প্রস্তাব অনুমোদন
দেওয়া হয়। এর আগে গত ২ ও ৯ ডিসেম্বর ৫০ হাজার টন করে চাল আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

সিঙ্গাপুরে
অবস্থানরত অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তাফা কামাল ভার্চুয়াল মাধ্যমে যুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব
করেন।

সভা
শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, “মহামারীর কারণে ২০২০ সালে বিশ্ব অর্থনীতি এক বছর আগের তুলনায়
চারভাগ কমে গেছে বলে বিশ্ব ব্যাংক প্রক্ষেপন করেছে। উন্নত দেশগুলো বেশি সাফার করেছে।
আমরা সেই তুলনায় ভালো আছি। করোনা এখনও শেষ হয়নি। মহামারী শুরুর পর থেকে আমরা যেভাবে
মোকাবেলা করেছি, আমরা ভালো অবস্থানে আছি। আগামী বছরও আমাদের অর্থনীতি ভালো যাবে বলে
মনে করি।” 

মন্ত্রিপরিষদ
বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, আটটি
প্রস্তাব আলোচ্যসূচিতে ছিল। এর বাইলে চাল ক্রয়ের প্রস্তাব আলোচিত হয়েছে।

“৫০
হাজার টন নন-বাসমতি (সিদ্ধ) চাল ক্রয় প্রস্তাব এই কমিটি সুপারিশ করে। চালের ক্রয়মূল্য
ছিল ১৬৮ কোটি ৬২ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। সুপারিশকৃত দরদাতা হচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের
বীরভূমের এমএস পিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড। এখানে প্রতি টন চালের দাম পড়েছে ৩৯৭
দশমিক ৭১ ডলার। বাংলাদেশি টাকায় প্রতিকেজির দাম পড়ছে ৩৩ দশমিক ৭২ টাকা (ভ্যাট ছাড়া)।

বাকি
আটটি প্রস্তাবের মধ্যে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দুটি ও বিদ্যুৎ বিভাগের একটি প্রস্তাব
অনুমোদন পায়নি।

স্থানীয়
সরকার বিভাগের অধীন ‘দ্বিতীয় নগর অঞ্চল উন্নয়ন’ প্রকল্পের আওতায় পরামর্শক প্রতিষ্ঠান
নিয়োগের প্রস্তাবটি সভায় অনুমোদন পেয়েছে। ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ১৩ হাজার ৪৬৭
টাকার এই প্রকল্পটিতে জয়েন্ট ভেঞ্চারের ভিত্তিতে কাজ পেয়েছে র‌্যাম্বল ডেনমার্ক, আকুয়া
কনসালটেন্সি বাংলাদেশ ও রিসোর্স প্লানিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট কনসালটেন্ট।

‘কক্সবাজার
বিমান বন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগের ক্রয় প্রস্তাব মন্ত্রিসভা অনুমোদনের জন্য সুপারিশ করেছে।

ভারত থেকে আরও ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে সায়
 

ভারত থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানিতে সায়

১৫৬৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকার এই
প্রকল্পে দরপত্রের প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক
সুপারিশ করা সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান সিওয়াইডব্লিউইবি জয়েন্ট ভেঞ্চারকে অনুমোদন
দেওয়া হয়ছে।

বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের
অধীন কক্সবাজার বিমান বন্দর উন্নয়ন প্রকল্প (১ম পর্যায়) (৩য় সংশোধিত) পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন
প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে বৈঠকে। প্রকল্পের পূর্ত কাজ সম্পাদনে ৫৭৮ কোটি ২০ লাখ ৭৭ হাজার
৭৩৪ টাকায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি করা হয়।

এ পর্যন্ত প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি
৯৬.৩৪%। কিন্তু কিছু অতিরিক্ত কাজের জন্য প্রকল্পের ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৭০
কোটি ২৩ লাখ ৮৬ হাজার ৮৯৫ টাকা প্রয়োজন হবে। ভেরিয়েশনসহ সর্বমোট ৬৫৩ কোটি ৭১ লাখ ৬ হাজার টাকায় হাল্লা কনস্ট্রাকশন কোরিয়ার সাথে সংশোধিত
চুক্তি সম্পাদনের প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

সড়ক
ও জনপদ অধিদপ্তরের দুটি প্রস্তাব আসলেও সেগুলো ফেরত পাঠানো হয়। আগামীতে সংশোধন করে
আবার উত্থাপনের পরামর্শ দেওয়া হয়।

‘বিদ্যুৎ
বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, কুমিল্লা জোন’ প্রকল্পের আওতায় টার্নকি ভিত্তিতে ৮টি
সাব স্টেশন মানোন্নয়নের জন্য ১৯৯ কোটি ৬৯ লাখ ৭৪ হাজার ৪১৮ টাকার প্রকল্পের অনুমোদন
দেওয়া হয়েছে।

বিদ্যুৎ
বিভাগের অধীন কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট ৪ ও ৫ এর মেরামতের জন্য ১২৬ কোটি
৮০ লাখ ৮৮ হাজার ৯৪১ টাকার প্রকল্পটি অনুমোদন দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ‘শতভাগ পল্লী বিদ্যুতায়নের জন্য বিতরণ নেটওয়ার্ক
সম্প্রসারণ (ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগ) (১ম সংশোধিত)’ শীর্ষক প্রকল্পের
জন্য ২৮ কোটি ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫৬ টাকার কাজ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

এর আওতায় ১৮ হাজার ৫৬২টি এসপিসি পোল
সরবরাহ করবে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি।