ক্যাটাগরি

হোল্ডার-পোলার্ডদের ছাড়া রঙ হারাবে না সিরিজ, আশা বিসিবির

টেস্ট অধিনায়ক জেসন হোল্ডার, ওয়ানডে অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডসহ ওয়েস্ট ইন্ডিজের মূল দলের নিয়মিত ১০ ক্রিকেটার আসছেন না আগামী মাসের বাংলাদেশ সফরে। কারণ হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ড জানিয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের দুর্ভাবনা ও ব্যক্তিগত ভয়ের কথা। এছাড়া ব্যক্তিগত কারণে সফরে থাকছেন না আরও দুই ক্রিকেটার।

গত জুন-জুলাইয়ে এই ওয়েস্ট ইন্ডিজই মহামারীর ভয়ঙ্কর সময়ে সফর করেছে ইংল্যান্ডে। বেশকজন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার এরপর দেশের বাইরে সিপিএল, আইপিএল খেলেছেন, নিউ জিল্যান্ড সফর করেছেন, এখন বিগ ব্যাশ খেলছেন। এই সিরিজ-টুর্নামেন্টগুলোর মতো বাংলাদেশের সিরিজও জৈব-সুরক্ষা বলয়ে আয়োজন করা হচ্ছে। এত দেশে খেলার পর বাংলাদেশ সফরের আগে কোভিড নিয়ে ক্যারিবিয়ানদের হঠাৎ ভয় অবাক করেছে অনেককেই।

আকরাম খান তাদেরই একজন। তবে দল দেখে চমকে গেলেও সিরিজ সফল হবে বলে মনে করেন এই বোর্ড পরিচালক।

“বিসিবির আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আমি দিচ্ছি না, তবে ব্যক্তিগতভাবে আমি অবাক হয়েছি এত জন খেলোয়াড় আসবে না বলে। ওদের কাছ থেকে এরকম কোনো ইঙ্গিত আমরা দল ঘোষণার আগে পাইনি।”

“তবে এটা ওদের ব্যাপার। এসব সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের যথেষ্ট স্বাধীনতা দেয় ওদের বোর্ড। ওখানে প্লেয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনও বেশ শক্ত। অনেকে আসছে না মানেই ওদের দল খারাপ হয়ে যায়নি। আমাদের জন্য যথেষ্টই চ্যালেঞ্জিং হবে। সিরিজের গুরুত্বও কমছে না। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও ওয়ানডে লিগের খেলা, আশা করি ভালো লড়াই হবে।”

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোর্ড আগে থেকেই ইঙ্গিত দিয়েছিল কিনা, এটি খোলাসা করতে নারাজ বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে কারা আছেন বা নেই, এই আলোচনায়ও খুব আগ্রহী নন তিনি। গত মার্চের পর দেশে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে, এটাই বোর্ডের
কাছে
বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানালেন তিনি।

“দল দেখে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটা তাদের ব্যাপার, এখানে আমাদের কিছু করার নেই। আমরা আমাদের নিয়ে বলতে পারি, সিরিজটি ভালোভাবে আয়োজন করতে পারি। আমাদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ খেলা হওয়াটা, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে। এখনকার পরিস্থিতিতে খেলা হতে পারাটাই সবকিছুর ওপরে প্রাধান্য পাচ্ছে আমাদের কাছে।”

প্রতিপক্ষের শীর্ষ তারকারা না থাকলে সিরিজের স্পন্সরশিপ ও সম্প্রচার স্বত্ব থেকে আয় কমে যাওয়ার কথা অনেকটাই। বিসিবির প্রধান নির্বাহী অবশ্য আশাবাদী, ততটা প্রভাব পড়বে না।

“দলে কে আছেন বা নেই, এসবে সিরিজ গুরুত্ব হারাচ্ছে বলে আমি মনে করি না। ওয়েস্ট ইন্ডিজ এমনিতেই জনপ্রিয় দল। আর দেশে এতদিন পর আন্তর্জাতিক খেলা হবে, সবার আগ্রহ এমনিতেই থাকবে। আশা করি, স্পন্সররাও সেটা অনুধাবন করবেন এবং তাদের যথেষ্টই আগ্রহ থাকবে। ভিউয়ারশিপ কম হবে বলেও আমরা মনে করি না। এতদিন পর দেশের খেলা দেখতে সবাই উৎসুক থাকবেন।”

জাতীয় দলের টিম স্পন্সর ও বোর্ডের সম্প্রচার স্বত্ব, দুটিই আপাতত ফাঁকা আছে। আপাতত শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের জন্যই স্পন্সর ও সম্প্রচার স্বত্ব দেওয়া হবে জানালেন প্রধান নির্বাহী। দীর্ঘমেয়াদের জন্য খোঁজার প্রক্রিয়া শুরু হবে এই সিরিজ শেষে।