বুধবার বিকেলে কেন্দ্রীয়
আওয়ামী লীগ ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে ‘সরকারের
দুই বছর পূর্তি ও গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালন উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জেলা
পরিষদ মার্কেট চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি একথা বলেন।
সাবেক মেয়র নাছির বলেন,
“গণতন্ত্র মানে হত্যা নয়, জ্বালাও-পোড়াও নয়, শিশু ও নারী হত্যা নয়। পেট্টোল বোমা মেরে
আগুনে পুড়িয়ে মানুষকে ছাই-ভস্ম করা নয়। সেদিন যারা এই অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন ২০১৮ সালের
জাতীয় নির্বাচনে জাতি তাদেরকে ভোটের মাধ্যমে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে।
“গণতন্ত্র মানে জনকল্যাণ
এবং মানুষের সকল মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা। আওয়ামী লীগ ধারাবাহিকভাবে এক যুগ ক্ষমতায়
আসীন। এ সময়ে অনেক উন্নয়নের মাঝেও বড় অর্জন পদ্মা সেতু নির্মাণ। এই পদ্মা সেতু নিজের
অর্থায়নে করা হয়েছে কারও দান-অনুদানকে পরোয়া না করে- এভাবেই বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল
মডেল হিসেবে আন্তর্জাতিক মহলে প্রশংসিত হয়েছে।”
নাছির বলেন, “আজ যারা
গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করছেন তাদের আমলে এ দেশ একটি জঙ্গিবাদ ও মানবতাবিরোধী অপরাধী
একাত্তরের পরাজিত শক্তিদের ভুল ঠিকানা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছিল। এ চিহ্ন মুছে ফেলে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জনগণের রায় নিয়ে জাতিকে মুক্তির ঠিকানা দিয়েছেন।
“একই সাথে তিনি ভাত
ও ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছেন। সেই অর্জন কেউ মুছে ফেলতে পারবে না। যতদিন বাংলাদেশ
বাঁচবে, আমরা থাকব, আওয়ামী লীগ থাকবে ততদিন আমরাই বঙ্গবন্ধুর পতাকাকে উড্ডীন করে রাখব।”
সমাবেশে নগর আওয়ামী
লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, “নৌকা গণতন্ত্রের প্রতীক, স্বাধীনতা
ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। এই নৌকা বাঙালিকে স্বাধীন জাতিসত্তা উপহার দিয়েছে। আজ নৌকা
প্রতীক নিয়ে আগামী ২৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের
বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।
“চারিদিকে নাগিনীরা
ফেলিতেছে বিষাক্ত নিঃশ্বাস, তাই হুঁশিয়ার সাবধান। যেখানে বিষ আছে তাকে বিনাশ করতেই
হবে।”
নগর আওয়ামী লীগের প্রচার
সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নগর কমিটির সহ-সভাপতি
সুনীল কুমার সরকার, নঈম উদ্দিন চৌধুরী ও আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শফর আলী
ও শেখ মাহমুদ ইছহাক, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী ও জালাল উদ্দিন
ইকবাল, উপ-প্রচার সম্পাদক শহিদুল আলম।
উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক
সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন
ধর, বন ও পরিবেশ সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. হোসেন,
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক দেবাশীষ গুহ বুলবুল, যুব ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী,
শ্রম সম্পাদক আবদুল আহাদ প্রমুখ।