শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোকাব্বির হোসেন।
নভেল করোনাভাইরাস বৈশ্বিক মহামারী রূপ নেওয়ার পর গত ১৬ মার্চ ইউরোপের সব দেশ থেকে যাত্রী আসা বন্ধ করেছিল বাংলাদেশ; তবে তখন যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ঢোকার পথ খোলা রাখা হয়েছিল।
কিন্তু সংক্রমণ বেড়ে যুক্তরাজ্যে রোগীর সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে, দেশটিতে কোভিড-১৯ রোগে মৃতের সংখ্যাও পাঁচশ ছাড়িয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রীও আক্রান্ত হয়েছেন করোনাভাইরাসে।
এই পরিস্থিতিতে যুক্তরাজ্যের ফ্লাইট বাতিল করল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
মোকাব্বির হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমানের লন্ডন ও ম্যানচেস্টারগামী ফ্লাইট আপাতত সাত দিনের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
আগামী ২৯ মার্চ ঢাকা থেকে বিমান লন্ডন ও ম্যানচেস্টারে গিয়ে ৩০ মার্চ ফিরবে। এরপর ৩১ মার্চ থেকে এই ফ্লাইট সাত দিনের জন্য বন্ধ থাকবে।
নভেল করোনাভাইরাস মহামারীতে বিশ্বের আকাশপথ অনেকটাই সীমিত হয়ে এসেছে। বিভিন্ন দেশ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বাতিল করেছে।
২১ মার্চ থেকে ভারত, সৌদি আরব, কাতার, বাহরাইন, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ওমান ও সিঙ্গাপুর-এই ১০ দেশের সঙ্গে বিমান চলাচল বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশ সরকার।
ইউএস-বাংলার ফ্লাইট স্থগিতই থাকছে
চলমান পরিস্থিতিতে বিভিন্ন আনন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট বাতিলের সময়সীমা বাড়িয়েছে বেসরকারি বিমান সংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।
এয়ারলাইন্সটির জনসংযোগ শাখার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম শুক্রবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, এখন থেকে দোহা, কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ১৫ এপ্রিল, কুয়ালালামপুর ১৪ এপ্রিল, সিংগাপুর ৭ এপ্রিল, মাস্কাট ২৯ এপ্রিল, ব্যাংকক ১৮ মে পর্যন্ত ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত থাকছে।
আগে কলকাতা ও চেন্নাই রুটে ১ এপ্রিল এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক রুটে ৩১ মার্চ পর্যন্ত ইউএস-বাংলার ফ্লাইট পরিচালনা স্থগিত ছিল।
অভ্যন্তরীণ রুটে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সব ফ্লাইট স্থগিত থাকবে জানিয়ে কামরুল বলেন, তবে ২৯ মার্চ থেকে শুধু প্রতি রোববার ঢাকা-গুয়াংজু রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে।