২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ওই নির্বাচনে
জয় পেয়ে আওয়ামী লীগ টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করে।
৩০ ডিসেম্বর ‘গণতন্ত্রের বিজয় দিবস’ পালনে
ছাত্রলীগের শোভাযাত্রা বুধবার সকাল ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে
বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে সংগঠনটির নেতাকর্মীরা
অংশ নেন।
কর্মসূচির নেতৃত্বে ছিলেন ছাত্রলীগের সভাপতি
আল-নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের
সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের
সভাপতি ইব্রাহিম হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান।
শোভাযাত্রা শেষে সমাবেশে ছাত্রলীগ সভাপতি জয়
বলেন, “এই নির্বাচনে বাংলাদেশের জনগণ তৃতীয়বারের মতো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন
শেখ হাসিনাকে সুযোগ দিয়েছে। যার ফলে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।”
তিনি বলেন, “গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে ব্যাহত
করতে বিএনপি-জামাত এই নির্বাচনের আগে-পরে দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ, নৈরাজ্য-সহিংসতা চালিয়েছে।
আমরা দেখেছি তারা গণতন্ত্রের কথা বলে আগুন সন্ত্রাস, নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা, সাম্প্রদায়িকতাসহ
নানামুখী ষড়যন্ত্র করেছে। কিন্তু দেশের জনগণ বিএনপি-জামাতকে বর্জন করে এদিন গণতন্ত্রের
বিজয় সূচিত করেছে।”
সাধারণ সম্পাদক লেখক বলেন, “একাদশ জাতীয় সংসদ
নির্বাচন বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ইতিহাসে একটি বিজয়ের মাইলফলক। এই নির্বাচনের
মাধ্যমে গণতন্ত্রের নবতর অভিযাত্রায় অগ্রসর হয় বাংলাদেশ।”
তিনি বলেন, “একাত্তরের পরাজিত শক্তি, সাম্প্রদায়িক
গোষ্ঠী বিএনপি-জামাত বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা ও গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে ব্যাহত করার
নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ
ও সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে দুর্বার প্রতিরোধ গড়ে তুলে, ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত এবং একটি
অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনিমার্ণে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ
করে যাবে।”