বুধবার পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত
চতুর্থ দফা শুনানি শেষে এ জরিমানা করা হয়।
পাশাপাশি কাটা পাহাড় পুনঃস্থাপন ও খাল উন্মুক্ত করার আদেশ
দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবেশ আইনে মামলাও করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
গত ১৬ অক্টোবর পরিদর্শনে গিয়ে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন
প্রকল্পের জন্য চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কের পাশে লোহাগাড়া উপজেলার রাঙ্গাপাহাড় এলাকায়
অনুমোদন ছাড়া এসব পাহাড় কাটার প্রমাণ পায় পরিবেশ অধিদপ্তর।
রেললাইন প্রকল্পের ঠিকাদার তমা গ্রুপ অ্যান্ড কন্সট্রাকশন
লিমিটেড, তাদের নিয়োগকরা মাটি কাটার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনাল
এবং রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালককে যৌথভাবে এই জরিমানা করা হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে জানান পরিবেশ অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক মো. মোয়াজ্জম হোসাইন।
তিনি বলেন, “রেললাইন নির্মাণের জন্য তাদের ৩৭টি পাহাড় কাটার
অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা এর বাইরে গিয়ে পুরোপুরি অনুমোদনহীন স্থান থেকে দুই
কোটি ২০ লাখ ঘনফুট পাহাড়ের মাটি কেটেছে।
“সেখানে পাহাড়ের মাটি কেটে একটি সরকারি খালও তারা ভরাট
করেছে। খালটি উন্মুক্ত করে দিতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ের মাটি পুনঃস্থাপন করার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে। পরিবেশ আইনে মামলাও করা হবে।”
জরিমানার পরিমাণ কোন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কত জানতে চাইলে
মোয়াজ্জম বলেন, “সেটা তারা আলোচনা করে ঠিক করবে কাদের দায় কতটুকু।”
বুধবারের শুনানিতে তমা গ্রুপ অ্যান্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেডের
প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
তমা গ্রুপ দাবি করেছে, তারা অনুমোদনের
বাইরে কোনো পাহাড় কাটেনি। পরিবেশ অধিদপ্তরের এই আদেশের বিরুদ্ধে তারা আপিল করবে।
দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন প্রকল্পে
তমা গ্রুপ এন্ড কন্সট্রাকশন লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক বিমল সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, “প্রকল্পের জন্য আমাদের ৩৭টি পাহাড় কাটার অনুমতি আছে। আমরা অনুমোদনের
বাইরে কোনো পাহাড় কাটিনি।
“এর বাইরে কে কোথায় পাহাড় কেটেছে, তা
আমাদের জানা নেই। তারা কী প্রক্রিয়ায় জরিমানা করেছে, জানি না। আমরা আপিল করব।”
মেসার্স হাসান ইন্টারন্যাশনালকে তারা
মাটি কাটার কাজ দিয়েছেন কি না- জানতে চাইলে বিমল সাহা বলেন, “দিয়েছি। তারা কাজ করছে।
কিন্তু তারাও অনুমোদনের বাইরে পাহাড় কেটেছে এমনটা আমাদের জানা নেই।”