বিবিসি জানায়, চীনের ‘সেন্টার ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন’ থেকে এ গবেষণা চালানো হয়। যদি তাই হয় তবে উহানের মোট জনসংখ্যার (এক কোটি ১০ লাখ) ৫ শতাংশ অর্থাৎ, প্রায় ৫ লাখ মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।
অথচ, সরকারি হিসাবে উহানে আক্রান্তের মোট সংখ্যা ৫০,৩৫৪। গবেষণা তথ্য যদি সত্যি হয় তবে সরকারি হিসাবের তুলনায় প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ গুণ বেশি।
গবেষণায় পাওয়া সংখ্যা এবং সরকারি হিসাবের মধ্যে এত বেশি পার্থক্যের একটি বড় কারণ হতে পারে, উহানে উপসর্গহীন আক্রান্তদের পরীক্ষা না করা।
উইচ্যাটে এক বিবৃতিতে সিডিসি কর্তৃপক্ষ জানান, এ বছরের শুরুর দিকে ওই গবেষণা করা হয়। গবেষকরা উহান এবং বৃহত্তর হুবেই প্রদেশ, বেইজিং, সাংহাই এবং আরো চারটি প্রদেশের ৩৪ হাজার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে।
পরীক্ষার পর তারা উহান থেকে সংগ্রহ করা নমুনার মধ্যে ৪ দশমিক ৪৩ শতাংশের দেহে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি খুঁজে পেয়েছে। বৃহত্তর হুবেই প্রদেশে এই হার ০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর হুবেই প্রদেশের বাইরে প্রতি ১২ হাজার মানুষে মাত্র দুইজনের শরীরে অ্যান্টিবডি পাওয়া গেছে।
বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে আগামী মাসে আন্তর্জাতিক বিজ্ঞানীদের একটি দলের উহান যাওয়ার কথা। কয়েকমাস ধরে আলোচনার পর বেইজিং করোনাভাইরাসের উৎস খুঁজতে স্বাধীন তদন্তের অনুমতি দিয়েছে। দলটি উহানে যাওয়ার আগে গবেষণাটির ওই ফল প্রকাশ হল।