বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ নীতি
নির্ধারণী ফোরাম সিন্ডিকেটের বুধবারের সভায় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক এএসএম
মাকসুদ কামালকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
অধ্যাপক মফিজুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি
নিয়মমাফিক শিক্ষা ছুটি না নিয়ে নরওয়ের ইউনিভার্সিটি অব বার্গেন থেকে মিডিয়া
স্টাডিজ বিষয়ে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করেন।
এই অভিযোগ তদন্তে কমিটির অন্য দুই
সদস্য হলেন- আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ ও ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি
বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন কবির।
মাকসুদ কামাল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর
ডটকমকে বলেন, বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চতর
শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রম সম্পাদন করতে হলে শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা
ছুটি নিতে হয়। কিন্তু অধ্যাপক মফিজুর রহমান কোন ছুটি নেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
“তবে তদন্তের বিষয়ে কোনো কার্যকাল
বা সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়নি। অভিযোগপত্র ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতে পেলে যত
দ্রুত সম্ভব আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দিয়ে দেব।”
অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থাকাকালীন অধ্যাপক মফিজুর রহমান পিএইচডি ডিগ্রি নেন। ওই
ডিগ্রি অর্জনের সনদ বিভাগীয় চেয়ারপার্সনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দিতে
গেলে ছুটি না নেওয়ার বিষয়টি বিভাগের কোর্ডিনেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট (সিঅ্যান্ডডি)
কমিটিতে আলোচনায় আসে।
নরওয়ের বারগেন বিশ্ববিদ্যালয়ে
পিএইচডি করার পাশাপাশি ২০১৫ সালের জুন থেকে ২০১৮ সালের মে পর্যন্ত অধ্যাপক মফিজুর গণযোগাযোগ
ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ
মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বও পালন করেছেন।