শীতকালে বড় আকারে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত ওষুধ কোম্পানি সিনোফার্মের অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান বেইজিং বায়োলজিক্যাল প্রডাক্ট ইনস্টিটিউটের উৎপাদিত টিকাটির অনুমোদন দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ।
এই টিকার কার্যকারিতার বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। তবে সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপের ইউনিট বেইজিং ব্যায়োলজিক্যাল প্রডাক্ট ইনস্টিটিউট বুধবার জানিয়েছে, অন্তবর্তী তথ্য অনুযায়ী এই টিকাটি করোনাভাইরাসজনিত রোগ প্রতিরোধে ৭৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ কার্যকর।
বৃহস্পতিবার চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন টিকাটির অনুমোদন দেয় বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
এর আগে চলতি মাসে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সিনোফার্মের টিকা অনুমোদন করে। এক ঘোষণায় পাকিস্তান জানিয়েছে, তারা এই টিকার ১২ লাখ ডোজ কেনার জন্য সিনোফার্মের সঙ্গে চুক্তি করেছে।
কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদনের ক্ষেত্রে অন্যান্য কয়েকটি দেশ থেকে পিছিয়ে থাকলেও চীন কয়েক মাস ধরে কিছু নাগরিকের ওপর তিনটি ভিন্ন ধরনের টিকা প্রয়োগ করে শেষ পর্যায়ের পরীক্ষা চালাচ্ছে।
জুলাইয়ে অপরিহার্য কর্মী ও প্রবল ঝুঁকির মুখে থাকা অন্যান্যদের জন্য একটি জরুরি ব্যবহার কর্মসূচী চালু করেছিল চীন। ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওই কর্মসূচীতে ৪৫ লাখেরও বেশি ডোজ ব্যবহার করা হয়েছে। মূলত সিএনবিজির উৎপাদিত দুটি ও সিনোভ্যাক বায়োটেকের একটি পণ্য এ কর্মসূচীতে ব্যবহার করা হয়েছে।
চীনের অন্তত পাঁচটি টিকা শেষ পর্যায়ের ট্রায়ালে আছে। এগুলোর উৎপাদক সিনোভ্যাক, সিএনবিজি ইউনিটস, ক্যানসিনো বায়োলজিকস এবং চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেস।
চীনের টিকাগুলোকে বিশ্বব্যাপী জনতার পণ্যে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ইতোমধ্যেই দেশটি যথাক্রমে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার ও লাতিন আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ ইন্দোনেশিয়া ও ব্রাজিলসহ বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে বড় ধরনের সরবরাহ চুক্তি করেছে।