ক্যাটাগরি

অবশেষে ক্ষান্ত হলেন ‘পাগলাটে’ ওয়্যাগনার

পায়ের দুই আঙুলে চিড় নিয়ে, ব্যথানাশক ইনজেকশন নিয়ে পাকিস্তানের
বিপক্ষে মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে দুর্দান্ত বোলিং করে নিউ জিল্যান্ডের জয়ে বড় অবদান
রাখেন ওয়্যাগনার। তবে এখন তাকে মাঠের বাইরে থাকতে হবে ৬ সপ্তাহ।

ম্যাচের প্রথম দিনেই ব্যাটিংয়ের সময় ডান পায়ের আঙুলে আঘাত
পান ওয়্যাগনার। ব্যথা নিয়েই সেদিন ৩ ওভার বোলিং করেন। পরে এক্স-রে করিয়ে পায়ের দুই
আঙুলে ধরা পড়ে চিড়।

ওই চোট নিয়েই ওই ইনিংসে আরও ১৮ ওভার বোলিং করেন তিনি। উইকেট
নেন ২টি। দ্বিতীয় ইনিংসে বল করেন আরও ২৮ ওভার। এবারও শিকার ২ উইকেট। এর মধ্যে ছিল সেঞ্চুরিয়ান
ফাওয়াদ আলমের উইকেটও। যথারীতি লম্বা স্পেলে বোলিং, ব্যাটসম্যানের শরীর তাক করে একের
পর এক বাউন্সার তো ছিলই।

ওয়্যাগনার পরে জানান, ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তাও
করেননি তিনি।

“ আমি জানি, আজকের এই অবস্থানে আসতে কতটা কঠোর পরিশ্রম আমার
করতে হয়েছে। মাঠের বাইরে বসে থেকে অন্যদের খেলতে দেখার কোনো ইচ্ছে তাই আমার নেই। আমি
খেলার অংশ হতে চাই, নিজের ভূমিকা রাখতে চাই। যতক্ষণ না আমাকে স্ট্রেচারে করে বাইরে
নিয়ে যাচ্ছে, আমি চেষ্টা করে যাব এবং সম্ভব সবকিছুই করব।”

আঙুলে চিড় নিয়েই ৪৯ ওভার বোলিং করেছেন ওয়্যাগনার। ছবি : নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের টুইটার।

আঙুলে চিড় নিয়েই ৪৯ ওভার বোলিং করেছেন ওয়্যাগনার। ছবি : নিউ জিল্যান্ড ক্রিকেটের টুইটার।

অধিনায়ক উইলিয়ামসনও ওয়্যাগানের স্তুতিতে ভাষা খুঁজে পাচ্ছেন
না।

“ ক্রিকেট মাঠে সে যা করে, এসব নিয়েই লোকে তার হৃদয়ের বিশালতার
কথা বলে আসছে। কিন্তু পায়ের দুই আঙুল ভাঙা নিয়ে, প্রচণ্ড ব্যথা সয়ে, মাঠের বাইরে গিয়ে
ইনজেকশন নিয়ে পা অসাড় করে সে মাঠে নেমেছে, আমরা তাকে সেভাবেই ব্যবহার করেছি।”

“ ওয়্যাগনারের এটা ছিল খুবই, খুবই স্পেশাল কিছু, দল এটির
প্রশংসাও করেছে। ওকে আমাদের দরকার ছিল মাঠে, সে তা করেছে।”

এই টেস্টের প্রতিপক্ষ অধিনায়ক রিজওয়ানের কণ্ঠেও ছিল ওয়্যাগনারের
উচ্ছ্বসিত প্রশংসা।

“ আমি তাকে বলেছি, ‘তুমি তো একটা পাগল।’ সে সত্যিই আলাদা
একজন। তার মানসিকতা, তার আগ্রাসন দারুণ।”

ওয়্যাগনারের মাঠের বাইরে ছিটকে পড়ার খবর নিশ্চিত করলেন কোচ
স্টেড।

“ নিল অসাধারণ ছিল এই টেস্টে। এই ম্যাচে সে যা করেছে, আমার
মনে হয় না খুব বেশি লোকে তা করতে পারত। আমাদের সঙ্গে এখানে আসেনি সে (দ্বিতীয় টেস্টের
ভেন্যু ক্রাইস্টচার্চে)। তার ইনজেকশনের প্রভাব বেশিক্ষণ থাকে না। এই ব্যথার প্রক্রিয়ায়
আমরা আর ওকে ঠেলে নিতে চাই না।”