অনেক রেকর্ডের মালিক টেন্ডুলকারের চোখে, মেলবোর্ন টেস্টে চাপের মুখে শুবমান ছিলেন স্বচ্ছন্দ। আর সিরাজের পারফরম্যান্স তো রীতিমত অবাক করেছে তাকে।
আগের ম্যাচে ৩৬ রানে অলআউট হওয়ার ধাক্কা সামলে মেলবোর্নে ভারতের ৮ উইকেটের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল সিরাজের। প্রথম ইনিংসে ১৫ ওভার বোলিং করে তিনি তুলে নেন দুই উইকেট। ফেরান অস্ট্রেলিয়ান টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান মার্নাস লাবুশেন ও অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনকে।
দ্বিতীয় ইনিংসে আরও দুর্দান্ত ছিলেন ২৬ বছর বয়সী ডানহাতি এই পেসার। ২১.৩ ওভার বল করে ৩৭ রানে নেন তিন উইকেট। এবারও তার শিকার প্রতিরোধ গড়া গ্রিন। সঙ্গে তুলে নেন ট্রাভিস হেড ও ন্যাথান লায়নের উইকেট।
দুর্দান্ত লাইন-লেংথে অস্ট্রেলিয়ানদের চাপে রাখতে সক্ষম ছিলেন সিরাজ। সেরাটা দিতে নিজেকে উজাড় করে দেন তিনি। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তার প্রশংসা করতে গিয়ে টেন্ডুলকার বলেন, সিরাজকে দেখে মনেই হচ্ছিল না যে ক্যারিয়ারে প্রথম টেস্ট খেলছে সে।
“সিরাজ যেভাবে বোলিং করেছে, সেটা ভুলে যাওয়ার মতো নয়। আমার তো মনে হয়নি, সে প্রথম টেস্ট খেলছে। সে প্রথম ওভারে যেভাবে বোলিং করেছে এবং এরপর যেভাবে ধীরে ধীরে নিজেকে আরও শাণিত করেছে, দেখে মনেই হয়নি যে সে প্রথম ম্যাচ খেলছে। তার পরিকল্পনা ছিল দারুণ এবং দারুণভাবে সে তা বাস্তবায়ন করেছে।”
ব্যাটিংয়ে আলো ছড়ানো গিলও শুরু থেকে ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। প্রথম ইনিংসে ৬৫ বলে ৮ চারে খেলেন ৪৫ রানের ইনিংস। পুজারার সঙ্গে গড়েন ৬১ রানের জুটি। আর দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়ার পথে দল দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানের সঙ্গে অপরাজিত থেকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন এই তরুণ। ৭ চারে ৩৬ বলে করেন ৩৫।
এসবের মাঝে গিলের সাহসী ব্যাটিং বেশি ভালো লেগেছে টেন্ডুলকারের।
“শুবমানকে (গিল) দেখে মনে হয়েছে আত্মবিশ্বাসী ও স্বচ্ছন্দ। অস্ট্রেলিয়ানদের শর্ট বলে সে দারুণ কিছু শট খেলেছে। অভিষিক্ত দুইজনই নিজেদের পরিকল্পনা সফলভাবে বাস্তবায়ন করেছে।”