ক্যাটাগরি

দরিদ্রদের জন্য পুলিশ-সংবাদকর্মীদের সহায়তা

‘টিম মানবিক’ নামেচট্টগ্রামের
কিছু তরুণ সংবাদকর্মী ৫০০ পরিবারকে চাল, ডাল, আলু, মাস্ক আর স্যানিটাইজার দিয়েছেন।

এ উদ্যোগে থাকা সময়
টিভির চট্টগ্রাম অফিসের প্রতিবেদক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে
জানান, ইতোমধ্যে তারা ৫০০ পরিবারের কাছে সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।

“প্রতিটি পরিবারকে
পাঁচ কেজি চাল, এক কেজি ডাল, এক কেজি আলু, পাঁচটি করে মাস্ক ও একটি করে হ্যান্ড স্যানিটাইজার
দেওয়া হয়েছে।”

পার্থ বলেন, “আমরা
কোনো টার্গেট পরিবারকে না দিয়ে রাস্তায় রিকশাচালক, ভ্যানচালকসহ নিম্নআয়ের মানুষদের
মধ্যে সেগুলো বিতরণ করেছি।”

আরও লোকজনকে সহায়তা
করার ইচ্ছার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, কয়েকজন সংবাদকর্মী মিলে এ উদ্যোগ নিলেও বিভিন্ন
শ্রেণি-পেশার লোকজনও তাদের সঙ্গে আছেন।

অন্যদিকে ব্যক্তিগত
উদ্যোগে অসহায় ও দুস্থদের সহায়তা দিয়েছেন পতেঙ্গা থানার ওসি উৎপল বড়ুয়া।

প্রয়োজনে তার সঙ্গে
যাতে যোগাযোগ করা যায় সেজন্য তিনি নিজের ফেইসবুক অ্যাকাউন্টে নিজের সরকারি ফোন নম্বরের
পাশাপাশি থানার দুইটি নম্বরও দিয়েছেন।

উৎপল বড়ুয়া বলেন, “আমরাও
মানুষকে ঘরের বাইরে বের না হতে উৎসাহিত করছি। এই অবস্থায় খেটে খাওয়া মানুষগুলো কর্মহীন
হয়ে পড়েছে। যার কারণে অনেক দুস্থ মানুষের আহার ও ওষুধ সেবন দুষ্কর হয়ে পড়েছে।

“তাদের প্রয়োজন আমাদের
জানালে আমরা সেটি পূরণ করব। অনেকেই আমাদের দেয়া 
নম্বরে ফোন করে সহায়তা চাইছে। যারা বাজারের কথা বলছে তাদের আমরা বাজার করে পাঠিয়ে
দিচ্ছি এবং তারা টাকা পরিশোধ করে দিচ্ছে।”

যাদের একদিন কাচজ না
করলে আহাত জোটে না তাদেরকেও ব্যক্তিগত উদ্যোগে বাজার করে দেওয়ার কথা জানান তিনি।

ব্যক্তিগত উদ্যোগে
ওসি উৎপল পাঁচ কেজি চাল, দুই কেজি আলু ও এক কেজি করে ডাল পৌঁছে দিচ্ছে অসহায় ও দুস্থ
পরিবারগুলোর কাছে।পাশাপাশি যাদের ওষুধের প্রয়োজন তাদের কাছে ওষুধও পৌঁছে দেয়া হয়।

এদিকে দৈনিক আজাদীতে
কর্মরত ফটো সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম মুন্নার উদ্যোগটি ছিল ভিন্ন।

তিনি হাটহাজারী উপজেলার
দক্ষিণ মাদার্শা এলাকায় স্থানীয় তরুণদের নিয়ে দিয়ে করেছেন পরিচ্ছন্নতা অভিযান।

মুন্না জানান, এলাকায়
বিভিন্ন সড়ক, বাড়ির আঙ্গিনা এবং সীমানা প্রাচীরে ব্লিচিং পাউডার মিশ্রিত পানি ছিটিয়েছেন
তারা। পাশাপাশি আবর্জনা পরিষ্কার করেন তারা।

বিভিন্ন মসজিদে ওযুর
পর হাত-মুখ মোছান তোয়ালে সরিয়ে টিস্যুর ব্যবস্থাও করেন তারা।