লা লিগায় গত রোববার স্বাগতিক ওয়েস্কার বিপক্ষে ১-০ গোলে জয় পাওয়া ম্যাচ দিয়ে এই দুই মাইলফলকে পা রাখেন ৩৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড।
ওই দুই তালিকাতেই মেসির ওপরে আছেন কেবল চাভি এরনান্দেস। সব মিলে কাতালান দলটির হয়ে সাবেক মিডফিল্ডারের ম্যাচ সংখ্যা ৭৬৭টি। আর স্পেনের শীর্ষ লিগে তিনি বার্সেলোনার হয়ে খেলেছেন ৫০৫ ম্যাচ।
সবকিছু ঠিক থাকলে আরও অনেক রেকর্ডের মতো চলতি মৌসুমেই হয়তো এই দুই রেকর্ডও নিজের করে নিবেন ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলার।
স্প্যানিশ ক্রীড়া পত্রিকা স্পোর্তকে সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে অসাধারণ দুটি মাইলফলকে পৌঁছাতে পেরে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মেসি।
“বার্সেলোনার জার্সিতে এত ম্যাচ খেলতে পারাটা গৌরবের।”
২০ বছর আগে ১৩ বছর বয়সী এক বালকের কাছে এমন কিছু নিশ্চিতভাবেই ছিল কল্পনাতীত। সেই বয়সে বাবার হাত ধরে বার্সেলোনায় পাড়ি জমিয়েছিলেন মেসি। সময়ের সঙ্গে সেই ছোট্ট মেসি হয়ে উঠেছেন এক উজ্জ্বল ইতিহাসের অংশ, হয়েছেন বার্সেলোনার সবচেয়ে বড় তারকা।
দেকোর বদলি হিসেবে ২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর এস্পানিওলের বিপক্ষে ১৭ বছর বয়সে বার্সেলোনার জার্সিতে অভিষেক হয়েছিল মেসির।
আর ২০২১ সালে এসে মেসির নামের পাশে যেসব সংখ্যা জ্বলজ্বল করছে, তা অবিশ্বাস্য। ৭৫০ ম্যাচের ৫২৪টিতেই জয়, ড্র ১৩৮ ম্যাচে, বাকি ৮৮ টিতে হার। গোল করেছেন ৬৪৪টি।
লা লিগায় ৫০০ ম্যাচের ২৫২টি খেলেছেন কাম্প নউয়ে, অ্যাওয়ে ম্যাচ ২৪৮টি। সব মিলে জয় ৩৬৯ ম্যাচে, করেছেন ৪৫১ গোল।
সবচেয়ে বেশিবার খেলেছেন আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে, ২৯ ম্যাচে; জয় ১৮টি, গোল ২৬টি। রিয়াল মাদ্রিদ, সেভিয়া ও ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন ২৮টি করে ম্যাচ। লা লিগায় সব মিলে ৪০টি ভিন্ন দলের বিপক্ষে খেলেছেন মেসি।
লা লিগায় সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড অনেক আগেই নিজের করে নিয়েছেন মেসি। বার্সেলোনার হয়ে সর্বোচ্চ জয় (৩৬৯), সবচেয়ে বেশি ম্যাচে শুরুর একাদশে থাকা (৪৪৫), সবচেয়ে বেশি শিরোপার (১০) রেকর্ডগুলো মেসির দখলে।
গত মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়তে চেয়েছিলেন মেসি। কিন্তু ক্লাবের বাধায় অনিচ্ছা সত্ত্বেও থেকে যান কাম্প নউয়ে। আগামী জুনেই শেষ হবে বার্সেলোনার সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ।