ক্যাটাগরি

সুন্দরবনের জন্য দেড়শ কোটি টাকার প্রকল্প

মঙ্গলবার
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় প্রকল্পটি অনুমোদন পায়।

সভার
সিদ্ধান্ত তুলে ধরে পরিকল্পনা কমিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ
মান্নান।

তিনি
জানান, সভায় ৯ হাজার ৫৬৯ কোটি ২৩ লাখ টাকা ব্যয়ের মোট ৬টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া
হয়েছে।

এর
মধ্যে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৮৬৭ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সহায়তা
থেকে ৫ হাজার ৭০১ কোটি ৬৫ লাখ টাকার জোগান দেওয়া হবে।

সংবাদ
সম্মেলনে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য মো. জাকির হোসেন আকন্দ বলেন, সুন্দরবন রক্ষার
প্রকল্পটির আওতায় বন কর্মকর্তা কর্মচারীর দক্ষতা বৃদ্ধি, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন
ও উপযুক্ত কর্মপরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।

তিনি
আরও বলেন, “এই প্রকল্পটির মাধ্যমে সুন্দরবনের সব ধরনের প্রাণী ট্র্যাকিং, আবাসস্থল
এবং রোগবালাই নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে।

“এছাড়া
প্রকল্পটির মাধ্যমে সুন্দরবনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল জোরদার, বন্য প্রাণীর সংখ্যা
নিরূপণ, রোগ বালাই, বন্য প্রাণীর আবাসস্থল, সংরক্ষিত এলাকার বৈশিষ্ট্য ও প্রতিবেশ
অবস্থা জরীপ এবং জলজ সম্পদের পরিমাণ নিরুপণ করা হবে।”

“সুন্দরবনের
আভ্যন্তরীণ যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও তথ্য প্রযুক্তির সন্নিবেশের মাধ্যমে
আধুনিকায়নের মাধ্যমে টেকসই করে সুন্দরবন রক্ষার উদ্দেশ্যেই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন
করা হবে,” বলেন তিনি।

জাকির
বলেন, প্রকল্পটির অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে সুন্দরবনের সম্পদ সংগ্রহকারী ও
সুবিধাভোগী ৩০ হাজার জনের জন্য জন্য প্রচলিত পারমিট সিস্টেম এবং তাদের পরিচয়পত্র
অটোমেশন করা।

প্রকল্প
প্রস্তাবে বলা হয়েছে- খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর ও বরগুনা জেলার মোট
৩৯টি উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।

প্রকল্পটি
বাস্তবায়ন করবে বন অধিদপ্তর; এটি ২০২৪ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা
নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৈঠকে
অনুমোদিত অন্য প্রকল্প

>>
‘জেলা পর্যায়ে আধুনিক তথ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ (১ম পর্যায়)’ প্রকল্প। এর ব্যয় ১
হাজার ১০৩ কোটি টাকা।

>>
‘ভূমিকম্প ও অন্যান্য দুর্যাগকালে অনুসন্ধ্যান, উদ্ধার অভিযান পরিচালনা এবং জরুরী
যোগাযোগের জন্য যন্ত্রপাতি সংগ্রহ (৩য় পর্যায়)’ প্রকল্প। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২
হাজার ২৭৫ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।

>>
‘জেলা মহাসড়ককে যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ প্রকল্প। এতে ব্যয় হবে ১২২ কোটি
৮২ লাখ টাকা।

>>
‘চিটাগাং সিটি আউটার রিং রোড (৩য় সংশোধিত )’ প্রকল্প। এতে ব্যয় বেড়েছে ২৪৯ কোটি ৮১
লাখ টাকা।

>>
‘কোভিড-১৯ ইমার্জেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্প।

মহামারী মোকাবিলায় বরাদ্দ বেড়ে ৬৭৮৬ কোটি টাকা