বিবিসি জানায়, সোমবার পাঞ্জাব প্রদেশের লাহোর হাই কোর্ট ঐতিহাসিক এ রায় দেয়।
দেশটির মানবাধিকারকর্মীরা একে স্বাগত জানিয়ে দেশজুড়ে ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ বাতিলের দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার লাহোর হাই কোর্টের বিচারক আয়শা মালিক বলেন, এই পরীক্ষা ‘অপমানজনক’ এবং ‘চিকিৎসা বিজ্ঞানে এর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি’ নেই।
পাঞ্জাব প্রদেশে মানবাধিকারকর্মীদের করা দুইটি পিটিশনের ভিত্তিতে সোমবারের এ রায় আসে। বর্তমানে সিন্ধু হাই কোর্টেও একই ধরনের একটি পিটিশনের উপর শুনানি চলছে।
লাহোর হাই কোর্টে এই পিটিশনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন সমীর খোসা। তিনি বিবিসি’কে বলেন, ‘‘যৌন নৃশংসতার ক্ষেত্রে ভার্জিনিটি টেস্টের যে কোনও ফরেনসিক মূল্য নেই, এই রায়ের মাধ্যমে তা অত্যন্ত স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।”
‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট একটি বহু পুরাতন প্রচলিত পরীক্ষা। এ পদ্ধতিতে একজন চিকিৎসক ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ নিয়ে আসা নারীর যৌনাঙ্গে দুই আঙুল ঢুকিয়ে তার কুমারীত্ব পরীক্ষা করেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বহু দিন আগেই বলেছে, এই পরীক্ষার কোনও অর্থ নেই। এই পরীক্ষা থেকে ধর্ষণের শিকার হওয়ার বিশেষ কোনও প্রমাণ পাওয়া যায় না। বরং এই পরীক্ষার মাধ্যমে নারীকে অপমানই করা হয়। মানবাধিকারকর্মীদের মতে, এই পরীক্ষা ‘নারীর দ্বিতীয়বার ধর্ষণের শিকার হওয়ার সামিল’।
বিশ্বের অনেক দেশেই ‘টু-ফিঙ্গার টেস্ট’ নিষিদ্ধ হলেও পাকিস্তানে এখনও এ পরীক্ষার প্রচলন আছে। বেশ কিছু মানবাধিকার সংগঠন দীর্ঘ দিন ধরে এর বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে আসছে। লাহোর হাই কোর্টের রায় হয়ত দেশটিতে ‘অমানবিক এবং অপমানকর’ এ পরীক্ষার অবসানের পথ দেখাবে।