ক্যাটাগরি

সাঈদীর আয়কর ফাঁকির মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

বুধবার ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত ৩ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক নজরুল ইসলামের
আদালতে যুগ্ম কর কমিশনার মাসুমা খাতুন জবানবন্দি
দেন।

তার বাকি
জবানবন্দি গ্রহণ এবং আসামিপক্ষের জেরার জন্য আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী শুনানির
দিন ঠিক
হয়েছে বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান এ আদালতের পেশকার আরিফুল ইসলাম।

তিনি বলেন, সাঈদীর আইনজীবী আবদুস সোবহান তরফদার অসুস্থ থাকায় তার আবেদন বিবেচনা করে বিচারক অবশিষ্ট শুনানির জন্য শুনানি
পিছিয়ে
দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী রেজাউল করিম বাচ্চু জানান, আসামি
পক্ষ
সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য সময় চেয়েছিল। কিন্তু তাদের
আবেদনে জবানবন্দি গ্রহণ শুরু হয়।

শুনানির আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সাঈদীকে আদালতে আনা হয়। আয়কর ফাঁকির অভিযোগে করা এই মামলায় তিনিই একমাত্র আসামি।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের ১৯ অগাস্ট
মামলাটি
দায়ের হয়। এ মামলায় সাঈদীর বিরুদ্ধে আয় গোপন করে ৫৬ লাখ ৪৬ হাজার ৮১২ টাকা কর ফাঁকির অভিযোগ আনা হয়।

২০১২ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।

আদালত ঘুরে গেলেন সাঈদী

দুই রিভিউ খারিজ, রাজাকার সাঈদীর বাকি জীবন জেলে
 

যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম অভিযুক্ত ব্যক্তি হিসাবে জামায়াতের নায়েবে আমির সাঈদীর বিচার শুরু হয়েছিল ২০১১ সালের ৩ অক্টোবর। ৮০
বছর বয়সী সাঈদী তার আগে থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, নির্যাতন ও ধর্মান্তরে বাধ্য
করার মতো মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সাঈদীর
মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়।

ওই রায়ের পর দেশজুড়ে সহিংসতা
চালায় জামায়াত ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের
কর্মীরা। ওই তাণ্ডবে প্রথম
তিন দিনেই নিহত হন অন্তত ৭০
জন। এছাড়া বহু গাড়ি-দোকানপাট ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, হিন্দুদের মন্দির-ঘরবাড়ি ভাংচুর করা হয়।

সাঈদী আপিল করলে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর আপিল
বিভাগ সংখ্যাগরিষ্ঠতার ভিত্তিতে রায় দেয়। তাতে সাজা কমে আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ আসে। ওই রায় পুনর্বিবেচনার
আবেদন হলেও তাতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।