আগামী রোববার রাষ্ট্রপক্ষ তাদের পক্ষে
কয়েকটি আইনি যুক্তি তুলে ধরার পরই রায় ঘোষণার তারিখ আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন
হাওলাদার বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “মামলার দুই আসামির পক্ষে
এর আগে যুক্তিতকের্র শুনানির পর বৃহস্পতিবার আসামি আব্দুল করিমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন
শেষ করেছেন তার আইনজীবীরা। তারা মূল আসামি
ঘটনাস্থলে ছিল না এবং তার কোনো সম্পৃক্ততা নাই বলে আদালতের কাছে বক্তব্য তুলে ধরেন
এবং উচ্চ আদালতের সিদ্ধান্ত জমা দেন।
“এর জবাবে আমি রোববার এ আসামির হত্যার
ষড়যন্ত্র ও হত্যার সমঅভিপ্রায় ছিল যুক্তি দেখাব।”
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর কাকরাইলের পাইওনিয়র
গলির ৭৯/১ নম্বর বাসার গৃহকর্তা আবদুল করিমের প্রথম স্ত্রী শামসুন্নাহার করিম (৪৬)
ও তার ছেলে সাজ্জাদুল করিম শাওনকে (১৯) গলা কেটে হত্যা করা হয়। ঘটনার পরদিন শামসুন্নাহারের
ভাই আশরাফ আলী রমনা থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলায় আব্দুল করিম, করিমের দ্বিতীয়
স্ত্রী শারমিন আক্তার মুক্তা ও মুক্তার ভাই জনিসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করার পর আবদুল
করিম ও শারমিন মুক্তাকে পরে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এরপর ওই বছরের ৩ নভেম্বর রাতে গোপালগঞ্জ
থেকে মামলার মূল আসামি জনিকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে শারমিন মুক্তা ও জনি আদালতে
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
২০১৮ সালের ১৬ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে
অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার পরিদর্শক মো. আলী হোসেন।
ওই বছর গত ৩১ জানুয়ারি তিনজনের বিরুদ্ধে
অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন বিচারক।
গত বছর ১ নভেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ
শেষ হয়। মামলার ২২ সাক্ষীর মধ্যে ১৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন বিচারক। ১২ নভেম্বর তিন
আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করেন। তিন আসামিই বর্তমানে কারাগারে
আছেন।
এরপর গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর ঢাকার তৃতীয়
অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলমের আদালতে আব্দুল করিমের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন
শুরু করেন তার আইনজীবী।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপনকালে
মামলার তিন আসামির সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রার্থনা করা হয়।