তিনদিন ধরে বগুড়ার নন্দীগ্রাম, কাহালু, শেরপুর এলাকার প্রায় ৫০০ পরিবারের মাঝে ডাল, ডাল, আটাসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করছেন বলে গ্লিটজকে জানান তিনি।
চলচ্চিত্রের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে এর আগে অনন্ত জলিল, অপু বিশ্বাসসহ গুটিকয়েক অভিনয়শিল্পী ছাড়া আর কোনো শিল্পীকেই ত্রাণ বিতরণ করতে দেখা যায়নি।
বলিউডের অভিনয়শিল্পীদের ভারতের ত্রাণ তহবিলে অর্থ সহায়তার খবর মিললেও বাংলাদেশের শিল্পীদের মাঝে এ ধরনের কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি; প্রশ্নও উঠেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ছবি: ফেইসবুক থেকে নেওয়া
হিরো আলম বলেন, “দেশের এই দুর্দিনে আমার সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু সম্ভব দরিদ্র মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি। বিত্তবান অভিনয়শিল্পীদেরও নিজ নিজ এলাকার হতদরিদ্রদের পাশে থাকা উচিত।”
গত নির্বাচনে বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন তিনি।
“নির্বাচনের সময় অনেকে বলেছিলেন, নির্বাচন চলে গেলে আর আমাকে পাওয়া যাবে না। দেশের এই দুর্দিনে আমি বাসায় বসে থাকতে পারিনি। মানুষের পাশে থাকার জন্য এমপি হতে হয় না। যে কেউ যে কোনো সময় দাঁড়াতে পারে।”
হিরো আলম নামে পরিচিতি পেলেও তার আসল নাম আশরাফুল আলম। পেশায় তিনি একজন কেবল অপারেটর ছিলেন।
২০১৬ সালে একটি মিউজিক ভিডিওতে কাজ করে ট্রলের শিকার হন ফেইসবুকে। সেই সঙ্গে আলাদাভাবে পরিচিতিও পান দর্শকমহলে।
একের পর এক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে ডাক পেতে থাকেন তিনি। ‘মার ছক্কা’ নামে একটি চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে তাকে।