প্রশাসনকে জানানোর পর বিক্রি করা গাছ ফেরত আনার কথা থাকলেও তা এখনও হয়নি। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে অভিযোগের মুখে থাকা সদর উপজেলার শৌলপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান খান ভাসানী বলছেন, উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে গাছগুলো কাটা হয়েছে। তবে প্রশাসন তা অস্বীকার করেছে।
শৌলপাড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সুরুজ মোল্লা বলেন, “কয়েকদিন আগে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান তার ওয়ার্ডের গঙ্গা নগর-চিকন্দি সড়কের গয়ঘর স্কুলের কাছ থেকে দশটি রেনট্রি (কড়ই) গাছ, আটটি চাম্বুল গাছ ও ছয়টি তাল গাছ কেটে নিয়ে যায়।”
ওই ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য দোলোয়ার হোসেন আকন্দ বলেন, “চেয়ারম্যান কাউকে না জানিয়ে সরকারি গাছগুলো গংগা নগর বাজারের কাঠ ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন বেপারীর কাছে তিন লাখ টাকায় বিক্রি করেছেন বলে শুনেছি।”
এদিকে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে গাছ কেনার কথা স্বীকার করে আনোয়ার বেপারী বলেন, “আমার কাছে চেয়ারম্যান কয়েকটি কড়ই, চাম্ভুল ও ছয়টি ছোট তালগাছ বিক্রি করেছেন। তবে সেগুলো সরকারি কি না, জানি না।”
অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল মান্নানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি শরীয়তপুর সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা নজরুল ইসলাম ও শৌলপাড়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোহাব্বত হোসেননের নির্দেশে সরকারি গাছগুলো কেটে বিত্রিু করেছেন।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকতা নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করেছে তা সঠিক না। আমি তাকে সরকারি গাছ কাটতে বলিনি।”
আর শৌলপাড়া ইউনিয়ন সহকারী ভুমি কর্মকর্তা মোহাব্বত হোসেনের ভাষ্য, গাছ কাটার বিষয়ে তিনি জানেন না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনদ্বীপ গরাইয়ের নির্দেশে গাছগুলো ফেরত আনতে চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মনদ্বীপ বলেন, “আমরা কোন গাছ কাটার নির্দেশ দেইনি। খবর পেয়ে সেগুলো উদ্ধারের নির্দেশ দিয়েছি।”