শনিবার বিকেলে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ভাস্কর্যটির ভিত্তি নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ার পর প্রক্টরিয়াল টিম তাতে বাধা দেয়।
ভাস্কর্য নির্মাণে কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞার পরও শনিবার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন বিকেলেই ভাস্কর্যটি বসানোর কাজ উদ্বোধন করার ঘোষণা দেন।
১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস সামনে ‘অবিনশ্বর বঙ্গবন্ধু’ নামের এই ভাস্কর্য বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
মামুন সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা উপাচার্যের সাথে বসে কথা বলেছি। আমাদের বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনই খুব শিগগির একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করবেন। আমাদেরকে ভাস্কর্য নির্মাণ করতে নিষেধ করে দেন।“
নিষেধাজ্ঞা না মেনে বিকেল ভাস্কর্যের বেইজমেন্ট তৈরির কাজ শুরু হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল টিম এসে তাতে বাধা দেন বলে তিনি জানান।
“আমাদের বাধা দিয়েছে। ওনারা বলেছেন, অনুমতি ছাড়া এটা করা যাবে না। পরে প্রক্টর এসে আমাদেরকে উপাচার্যের কাছে নিয়ে যান।”
পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের অবস্থান জানতে চাইলে মামুন বলেন, তারা অনুমতি নিয়েই আগামীকাল আবার সেটি স্থাপনের উদ্যোগ নেবেন। তা না করা গেলে কালকে সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্ত জানাবেন।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “জাতির জনকের ভাস্কর্য বানাবে এটা ভালো উদ্যোগ। ওদের চিন্তাধারাকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু অনুমতি ছাড়া, কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়া বিষয়টি সুন্দর হবে না।
“এর জন্য প্রয়োজন এক্সপার্ট অপিনিয়ন, প্ল্যান, উপযুক্ত জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরিকল্পনামাফিক কাজটি করা উচিত- তাদেরকে আমরা এই বিষয়টি বুঝিয়েছি।”
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যেখানে সেখানে অপরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন করা যায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য নির্মাণ করতে হলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন লাগে।
“যথাযথ মর্যাদায় পরিকল্পনা মোতাবেক সেটি নির্মাণ ও স্থাপন করতে হয়। বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে স্থান নির্বাচন করতে হয়। আমরা তাদের সেই বিষয়টি বুঝানোর চেষ্টা করেছি।”