শুক্রবার টুইটারে এক ভিডিও বার্তায় তিনি জানিয়েছেন, পরীক্ষায় করোনাভাইরাস ‘পজেটিভ’ আসার পর তিনি নিজেকে আলাদা (আইসোলেশন) রেখেছেন।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় জনসনের মধ্যে ‘মৃদু উপসর্গ’ দেখা দেয়। এরপর পরীক্ষায় তার করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
ভিডিও বার্তায় জনসন বলেন, “আমি এখন সেলফ আইসোলেশনে আছি। তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে এ লড়াইয়ে আমি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সরকারের কাজের নেতৃত্ব দেব।”
তবে জনসন মারাত্মকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার জায়গায় দায়িত্ব পালন করবেন যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক র্যাব।
Over the last 24 hours I have developed mild symptoms and tested positive for coronavirus.
I am now self-isolating, but I will continue to lead the government’s response via video-conference as we fight this virus.
Together we will beat this. #StayHomeSaveLives pic.twitter.com/9Te6aFP0Ri
— Boris Johnson #StayHomeSaveLives (@BorisJohnson) March 27, 2020
জনসন এর আগে কোভিড-১৯ আক্রান্ত এক মন্ত্রীর সংস্পর্শে এসেছিলেন। তবে তখন তিনি করোনাভাইরাস পরীক্ষা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
বৃহস্পতিবার জনসনের রোগের মৃদু লক্ষণ ধরা পড়ার পর ইংল্যান্ডের প্রধান মেডিকেল অফিসারের পরামর্শে তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান বলে জানিয়েছেন ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র।
এরপরই শুক্রবার সকালে টুইটারে এক ভিডিও পোস্টে জনসন পরীক্ষায় করোনাভাইরাস পজিটিভ এসেছে এবং তিনি চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে আলাদা থাকছেন বলে জানান।
গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ব নেতাদের মধ্যে জনসনই প্রথম এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলেন। এর একদিন আগেই এ ভাইরাসের কবলে পড়েছেন ব্রিটিশ রাজপরিবারের যুবরাজ চার্লস।
সম্পতি কয়েক সপ্তাহে যুবরাজ হিসেবে চার্লস অনেক দায়িত্ব পালন করায় কারো কাছ থেকে এ ভাইরাস সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আক্রান্ত হলেও যুক্তরাজ্যের রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ সুস্থ রয়েছেন বলে বাকিংহাম প্রাসাদ থেকে জানানো হয়েছে।
৯৩ বছর বয়সী রানির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল গত ১১ মার্চ।
চার্লসের আগে যুক্তরাজ্যের কয়েকজন মন্ত্রী ও এমপি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন।
ব্রিটিশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীরও করোনাভাইরাস
গত ১১ মার্চে যুক্তরাজ্যের স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও কনজারভেটিভ পার্টির এমপি নাদিন ডোরিয়েস করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
আর বিশ্বে অন্যান্য দেশের মধ্যে ইরানেও মন্ত্রী, এমপি’রা আক্রান্ত হয়েছেন এবং আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন দেশটির ভাইস প্রেসিডেন্টও।