ক্যাটাগরি

যুক্তরাষ্ট্র-তাইওয়ান সম্পর্কে থাকা বিধিনিষেধ তুললেন পম্পেও

শনিবার এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

তার এ পদক্ষেপ চীনকে ক্ষুব্ধ করার পাশাপাশি ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের মেয়াদের শেষদিনগুলোতে বেইজিং-ওয়াশিংটন উত্তেজনা আরও প্রকট করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বশাসিত দ্বীপ তাইওয়ানকে চীন নিজেদের বিচ্ছিন্ন ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে আসছে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে তাইওয়ানকে সবচেয়ে সংবেদনশীল ইস্যু হিসেবেও বর্ণনা করে আসছে তারা।

বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের মতোই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। বেইজিয়ের চাপ সত্ত্বেও ট্রাম্প প্রশাসন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অস্ত্র বিক্রি ও বিভিন্ন আইন করে তাইপের প্রতি সমর্থনের মাত্রা বাড়িয়েছে।

পম্পেও তার বিবৃতিতে বলেছেন, কয়েক দশক ধরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আমেরিকান কূটনীতিক, সেনা সদস্য ও অন্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে জটিল অভ্যন্তরীণ বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছিল।

“বেইজিংয়ের কমিউনিস্ট সরকারকে শান্ত রাখতে যুক্তরাষ্ট্রের সরকার একতরফাভাবে এসব পদক্ষেপ নিয়েছিল। আজ আমি ঘোষণা করছি, আমি এসব স্ব-আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে দিচ্ছি,” বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এ পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

২০ জানুয়ারি ডেমোক্র্যাট জো বাইডেন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার আগে ট্রাম্পের রিপাবলিকান প্রশাসন ও পম্পেও চীনের উপর ওয়াশিংটনের চাপ আরও বাড়ানোর যে চেষ্টা করছেন তার অংশ হিসেবেই এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন।

ওয়াশিংটন সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের এশিয়া বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বনি গ্লেসার জানান, এতদিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের যোগাযোগের ক্ষেত্রে যেসব বিধিনিষেধ ছিল, তার অন্যতম হচ্ছে- তাইওয়ানের কর্মকর্তারা চাইলে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের সঙ্গে হোটেলে দেখা বা বৈঠক করতে পারতেন, তবে তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ঢুকতে পারতেন না।

পম্পেও এসব তুলে দেওয়ায় এখন তাইওয়ানের কর্মকর্তাদের আর এ ধরনের বিধিনিষেধের খাঁড়ায় পড়তে হবে না।

“ট্রাম্প প্রশাসন তার শেষ দিনগুলোতে এ ধরনের নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেওয়ায় বাইডেন প্রশাসন অবশ্যই অসন্তুষ্ট হবে,” বলেছে গ্লেসার।

বাইডেনের ট্রানজিশন টিমের এক সদস্য বলেছেন, প্রেসিডেন্টের দায়িত্বভার গ্রহণের পর বাইডেন ‘তাইওয়ানের জনগণের ইচ্ছা ও সর্বোত্তম স্বার্থের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তাইওয়ান প্রণালী সংক্রান্ত ইস্যুর শান্তিপূর্ণ সমাধানে সমর্থন অব্যাহত রাখবেন’।

পম্পেওর ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে তাইওয়ান।

“কয়েক দশকের বৈষম্যের অবসান হল। আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের জন্য এটি বড় একটি দিন,” টুইটে এমনটাই বলেছেন ওয়াশিংটনের তাইওয়ানের ‘ডি ফ্যাক্টো’ রাষ্ট্রদূত এইচসিয়াও বি-খিম।