এ রাজ্যগুলো হল উত্তর প্রদেশ, কেরালা, রাজস্থান, মধ্য প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, হরিয়ানা ও গুজরাট; জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে বন্য পাখি, কাক ও পোল্ট্রি খামারে হাঁস-মুরগির আকস্মিক মৃত্যুতে সেখানেও এভিয়েন ইনফ্লুয়েঞ্জার ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শনিবার ভারতজুড়ে ১২০০ পাখির মৃত্যু হয়েছে, জানিয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। রোগের বিস্তার ঠেকাতে কেন্দ্রীয় সরকার স্থানীয় কর্তৃপক্ষগুলোর সঙ্গে সমন্বয় জোরদার করছে বলে এনডিটিভি জানিয়েছে।
মহারাষ্ট্রের একটি পোল্ট্রি খামারে ৯০০ মুগরীর মৃত্যু হয়েছে। ছত্তীশগড়েও বেশ কিছু পাখির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর হয়েছে। এসব মৃত্যুর কারণ বার্ড ফ্লু কিনা তা নিশ্চিত হতে মৃত পাখির নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
গত তিন দিনে দক্ষিণ দিল্লির জাসোলার একটি পার্কে অন্তত ২৪টি কাককে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। বিখ্যাত সঞ্জয় লেকে ১০টি হাঁসের মৃত্যু হয়েছে। এসব ঘটনার পর এই লেকসহ তিনটি পার্ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
দিল্লি জ্যান্ত পাখির আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। শহরের গাজিপুরে সবচেয়ে বড় পোল্ট্রি বাজার ১০ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে।
মৃত পাখিগুলোর নমুনা পরীক্ষার জন্য জলন্ধরের ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। নাগরিককের জিজ্ঞাসার উত্তর দেওয়ার জন্য ২৪ ঘণ্টার একটি হেল্পলাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দিল্লির প্রত্যেকটি এলাকায় ‘র্যাপিড রেসপন্স টিম’ গঠন করা হয়েছে।
পশু চিকিৎসা কর্মকর্তারা পাখির বাজার, চিড়িয়াখানা ও জলাভূমি এলাকাগুলোতে নজরদারি চালানো শুরু করেছেন।
পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামের সরকারও একই ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্যটির বহু জায়গায় বাইরে থেকে আসা হাঁস-মুরগির প্রবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেশী রাজ্যগুলোর পরিস্থিতি দেখার পর পাঞ্জাবকে ‘নিয়ন্ত্রিত এলাকা’ ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। পোল্ট্রিসহ রাজ্যটিতে সব ধরনের জ্যান্ত পাখি ও অপ্রক্রিয়াজাত পোল্ট্রি মাংস আমদানি ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
মধ্য প্রদেশের ১৩টি জেলায় বার্ড ফ্লুর সংক্রমণ নিশ্চিত হয়েছে। কিন্তু রাজ্যটির ২৭টি জেলায় প্রায় ১১০০ কাক ও পাখিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে।
মহারাষ্ট্রের মুম্বাই, থানে, ধাপোলি ও বীড এলাকায় মৃত পড়ে থাকা কিছু কাকের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
পরিস্থিতির ওপর নজর রাখার জন্য সব রাজ্যের প্রধান সচিব ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রধান প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে ভারতের পশুপালন ও দুগ্ধজাত পণ্য বিভাগ। পাখি থেকে মানুষের মধ্যে যেন সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে না পারে সেদিকে কড়া নজর রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।