বৃহস্পতিবার রাত থেকে শনিবার
রাতের মধ্যে কোনো এক সময় এই চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে ওই কার্যালয় সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য।
ওই কার্যালয়ের প্রধান সহকারী
মো. সফিয়ার রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার দাপ্তরিক কাজ শেষে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের
এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা অফিসের আলমারিতে রেখে কক্ষ তালাবন্ধ করে যান।
রোববার অফিসে এসে কক্ষের
জানালার গ্রিল ও আলমারির তালা ভাঙা পান এবং আলমারিতে রক্ষিত টাকা চুরি হয়ে গেছে বলে
তিনি জানান।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের
জন্য ওই কার্যালয়ের নৈশ প্রহরী মো. রানা মিয়াকে (২৬) আটক করেছে পুলিশ।
প্রধান সহকারী সফিয়ার রহমান
বলেন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেওয়ার জন্য বৃহস্পতিবার সকালে ব্যাংক থেকে ৯ লাখ
টাকা উত্তোলন করে বিকাল পর্যন্ত ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দেন।
অবশিষ্ট এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা তার কক্ষে আলমারিতে রেখে তালাবন্ধ করে চাবি কক্ষের একটি
গোপন স্থানে রেখে দেন।
শুক্রবার ও শনিবার সরকারি
ছুটি থাকায় কার্যালয় বন্ধ ছিল এবং এই সময় নৈশ প্রহরী মো. রানা মিয়া পাহারায় ছিলেন বলে
তিনি জানান।
সফিয়ার রহমান আরও বলেন,
রোববার সকালে কার্যালয়ে এসে কক্ষের তালা খুললে আলমারির সকল তালা ও ডয়ারের তালা ভাঙা
পান। চাবিগুলো তার টেবিলের উপরে ছড়ানো এবং কক্ষের জানালার গ্রিল ভাঙা পান।
“তাৎক্ষণিক আলমারির ডয়ার খুলে দেখি সেখানে
রক্ষিত থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনের এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা নেই।”
বিষয়টি তাৎক্ষণিকভাবে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো.
মফিজার রহমানকে অবগত করে সদর থানা পুলিশে খবর দেন বলে জানান তিনি।
শুধু টাকাই চুরি হয়েছে,
কক্ষে থাকা গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র খোয়া যায়নি বলে তিনি জানান।
নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক
মো. আব্দুর রউপ বলেন, চুরির খবর পেয়ে তিনি পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
চুরির সাথে জড়িত সন্দেহে ওই কার্যালের নৈশপ্রহরী মো. রানা মিয়াকে আটক করে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ
করা হচ্ছে।
এখনও সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে
লিখিত অভিযোগ পাননি জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সদর উপজেলা ভূমি কার্যালয়ের
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মফিজুর রহমান বলেন, “পুলিশের তদন্ত চলছে। চুরির ঘটনায় আমরা
একটি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি।”