বিটিআরসি
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোববার কমিশনের প্রধান সম্মেলন কক্ষে মোবাইল হ্যান্ডসেট
উৎপাদনকারী ও আমদানিকারক প্রতিনিধির সাথে এক মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যানের এ আহ্বান আসে।
তিনি
বলেন, ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ্রুত পরিকল্পনা না নিলে আগামীতে তা জীব বৈচিত্র ও পরিবেশের
জন্য ভয়ঙ্কর ঝুঁকি তৈরির আশঙ্কা রয়েছে।
‘সময়ের
চাহিদা অনুযায়ী’ দেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও অন্যান্য পাঠক্রমে ইলেক্ট্রো মেকানিকস, কৃত্রিম
বুদ্ধিমত্তা, ব্লকচেইন, ক্লাউড, আইওটির মত বিষয় অর্ন্তভুক্ত করার ওপর গুরুত্ব আরোপ
করেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান।
এ
বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাথে যুক্ত থেকে কার্যক্রম
নেওয়ার জন্য কমিশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেন তিনি।
বাংলাদশে
মোবাইল ফোন ইম্পোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিআইএ) সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন,
এখন দেশেই চাহিদা অনুযায়ী ফোরজি ও ফাইভজি হ্যান্ডসেট উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে। তবে স্মার্টফোনের
উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য দরকার দেশব্যাপী মানসম্পন্ন মোবাইল নেটওয়ার্ক।
ই-বর্জ্য
ব্যবস্থাপনায় বিক্রেতা ও উৎপাদনকারীরা সমন্বিত উদ্যোগ নিলে তা নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব
হবে বলে মত দেন মাহবুব।
ভাইস
চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্র আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীদের কোনো সমস্যা থাকলে আইনি কাঠামোর
মধ্য থেকে সমাধানের আশ্বাস দেন।
কমিশনের
লিগ্যাল অ্যান্ড লাইসেন্সিং বিভাগের কমিশনার আবু সৈয়দ দিলজার হুসেইন দেশের অর্থনীতিকে
সচল রাখা ও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে উৎপাদনকারীদের সাফল্যের প্রশংসা করে আইনগত বাধা
থাকলে তা সমাধানের আশ্বাস দেন।
কমিশনের
স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদুল আলম বেশ কয়েকটি মোবাইল
উৎপাদন কারখানা পরিদর্শনের কথা উল্লেখ করে তাদের গুণগত মান নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আগামীতে
৫০ শতাংশ ফিচার এবং ৫০ শতাংশ স্মার্টফোন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে কাজ করতে
উৎপাদনকারীদের প্রতি আহ্বান জানান শহীদুল আলম।
কমিশনের
সিস্টেমস অ্যান্ড সার্ভিসেস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাসিম পারভেজ
বলেন, উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের কার্যক্রমে ‘দূরদর্শীতার’ পরিচয় দিয়েছে এবং
শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলো আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে দেশেই হ্যান্ডসেট উৎপাদন করছে।
কমিশনের
অর্থ, হিসাব ও রাজস্ব বিভাগের মহাপরিচালক মো. মেসবাহুজ্জামান শুধু আমদানি বা সংযোজন
শিল্পে মনোযোগী না হয়ে দেশে সেমিকন্ডাক্টরসহ অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তির ডিভাইস তৈরি এবং
ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় শিগগিরই পদক্ষেপ নেওয়ার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।