রোববার এক যৌথ বিবৃতিতে এই চার দেশ একযোগে এই নিন্দা জানিয়ে চীনকে হংকংয়ের নাগরিকেদের স্বাধীনতাকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানিয়েছে।
সরকারকে ‘পঙ্গু’ ও ‘উৎখাতের’ পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে নতুন নিরাপত্তা আইন লংঘনের সন্দেহে গত বুধবার হংকংয়ে অভিযান চালিয়ে গনতন্ত্রপন্থি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়।
বেইজিং গত বছর হংকংয়ে নিরাপত্তা আইন চাপিয়ে দেওয়ার পর এ গ্রেপ্তারের ঘটনাটিই সেখানে সরকার-বিরোধী শিবিরের বিরুদ্ধে চালানো সবচেয়ে বড় ধরপাকড় অভিযান।
এ অভিযানের নিন্দা জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে চারটি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেছেন, “বিরোধী রাজনৈতিক মত এবং বিরোধিতা দূর করতে জাতীয় নিরাপত্তা আইনকে কাজে লাগানো হচ্ছে- এটি পরিষ্কার।”
“আমরা হংকং এবং চীনের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষকের কাছে গ্রেপ্তার কিংবা আটক হওয়ার ভয়বিহীনভাবে হংকংয়ের জনগণকে তাদের বৈধ স্বাধীনতা এবং অধিকারকে সম্মান দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি।”
হংকং সরকারের ভাষ্য, গ্রেপ্তারকৃতরা সমাজের ‘মারাত্মক ক্ষতি’ করার পরিকল্পনা করেছিল, কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ বরদাশত করবে না।
হংকংয়ের পুলিশ যে অর্ধশতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে তাদের মধ্যে সাবেক আইনজীবী, অধিকারকর্মী এবং জেমস টো, লাম চিউক-টিং, বেনি তাই ও লেস্টের শামের মতো ২০২০ সালের প্রাইমারি ভোট আয়োজনে জড়িতরাও আছেন বলে জানানো হয় গণমাধ্যমের খবরে।
হংকংয়ে এ ধরপাকড়ের পর গত বৃহস্পতিবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বলেছিলেন, গ্রেপ্তারের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে এবং তাইওয়ান সফরের জন্য জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূতও পাঠাবে।